মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

নববর্ষে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় উপাচার্যের

প্রকাশনার সময়: ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২১ | আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩০

নতুন বছর সবার জন্য সুন্দর ও শান্তিময় হোক প্রত্যাশা করে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, আপনাদের দিন সুন্দর হোক; ভবিষ্যৎ সুন্দর হোক। সুবিধে অসুবিধেয় আমরা একসঙ্গে থেকে কাজ করবো। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাবো এটিই আজকের দিনের প্রত্যয়।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে নববর্ষের শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসবকথা বলেন।

এবারের পহেলা বৈশাখের গুরুত্ব তুলে ধরে উপাচার্য আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সাথে নববর্ষ ছাড়াও কিছু দিনগুলোর ক্ষেত্রে এক দিন এদিক-সেদিক হয়। কিন্তু এবার পুরোনো পঞ্জিকা অনুসারে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরার মানুষও আমাদের সঙ্গে নববর্ষ পালন করছেন। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা সকল বাঙালির পহেলা বৈশাখ পালন আজকের দিনেই। ফলে আজকের এমন একটা দিন যে দিনে সারা বিশ্বের বাঙালি উৎসবে শামিল হয়েছে। তাই আজকের এই দিনটির গুরুত্ব অনেক বেশি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোসাম্মৎ জান্নাতুল ফেরদৌস, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) ড.মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. তুষার কান্তি সাহা, চারুকলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নগরবাসী বর্মন, ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা মো. নজরুল ইসলাম, কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল মাহমুদ কায়েস, সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল ইসলাম রিয়েল সরকারসহ অন্য শিক্ষক-কর্মকর্তা ও ছাত্র-ছাত্রীরা।

উল্লেখ্য, বাঙালিয়ানাকে ধারণ করে উচ্ছ্বাস ও আনন্দের সাথে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ কে বরণ করে নিয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখরের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয়।

সকাল ১০টায় জয়ধ্বনি মঞ্চের সামনে থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে জমায়েত হয়। বৈশাখী সাজে এই শোভাযাত্রায় সামনে-পেছনে বাদ্যের তালে তালে চলে নৃত্য। হাতে হাতে ছিল বাহারি মুখোশ। পুষ্পাকৃতির চরকি, টেপা পুতুল আর পাখির শিল্পকাঠামো শোভাযাত্রাকে দেয় বাঙালির চিরায়ত আবহ। শোভাযাত্রায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ নানা বয়সের দর্শনার্থীরা স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ