ঢাকা, রোববার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আলু ও তরমুজ ফিরেছে সিন্ডিকেট, কাঁচা বাজারে বাড়ছে উত্তাপ

প্রকাশনার সময়: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৫

ঈদের পর পরই সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। সেই সাথে গত রমজানের মাঝামাঝিতে স্থিতিশীল দরের তরমুজ ও আলু ফের ফিরেছে সিন্ডিকেট দরে। যে কারণে নিম্ন ও স্বল্প আয়ের মানুষেরা বলছেন ‘আর পারছি না’।

তাড়াশ পৌর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৪০ টাকা কেজি দরের আলু এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। আর ৩০ টাকা কেজির তরমুজ এখন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন মৌসুমী ফল ব্যবসায়ীরা।

এ ছাড়াও ৫০ টাকার করল্লা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, সজনা ডাটা এক কেজি ৬০ টাকার, কাঁচা মরিচ ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা কেজি, ৩০ টাকার বেগুন বর্তমানে ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা, শশা ২০ টাকা থে‌কে ৩০ টাকা, ৩০ টাকার ঢেড়শ ৪০ টাকা, ৫০ টাকার পটল ৭০ টাকা, ৫০ টাকার কচুর লতা ৬০ টাকা, ১০ টাকার আটির ডাটা শাক ১৫ টাকা, ৫০ টাকার কেজির পেঁয়াজ ৬০ টাকা, কাঁচা কলা হালিতে ১৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২০ টাকা হালি, ৪০ টাকা একটি কলার মোচা এখন ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর এভাবে সব ধরনের সবজি বা তরকারির দাম বাড়ছে।

উপজেলার পৌর এলাকার বাসিন্দা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সুজন মাল অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার কাঁচা সবজি বাজারগুলোতে চলছে এক ধরনের অরাজগতা। সাহস করে দাম চাইলেই হলো বলে ক্ষোভ ঝাড়েন তিনি।

তিনি আরও বলেন, বাজারের কাঁচা সবজির একটি দোকান থেকে ৫ থেকে ৭ ফুট দূরত্বে আরেকটি দোকানে সবজির দামের হেরফের কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা। মূলত যে যেভাবে পারছে, ক্রেতাদের পকেট কাটছে।

এদিকে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কোনো কাঁচা সবজির দোকানে নেই মূল্য তালিকা। ফলে তারা ইচ্ছা মতো দামে সবজি বিক্রি করছে। আর ঠকছেন ক্রেতা। এমন কি লক্ষ্য করা গেছে তাড়াশ উপজেলা সদরের বাজার থেকে তিন থেকে চার কিলোমিটার দূরত্বের গ্রামের একটি বাজার থেকে তাড়াশ পৌর সদরের বাজারের সকল সবজির দাম তুলনামূলক ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি।

আবার বিভিন্ন কাঁচা সবজি দোকানে সামনে অবিক্রিত ডালিতে থাকলেও তারা কম দামে বিক্রি করছেন না। বরং নষ্ট করে ফেলে দিচ্ছেন। যা এক ধরনের সিন্ডিকেট বলে অভিযোগ করেন বাজারে আসা ক্রেতা আব্দুল আলীম, শাহিন সরকারসহ একাধিক ক্রেতা। পাশাপাশি তারা বলছেন, আলুসহ সব ধরনের সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় ‘আর পারছি না’।

অবশ্য, উপজেলার নাদোসৈদয়পুর বাজারে কাঁচা সবজি বিক্রেতা মারফত আলী বলেন, আমরা সাধারণত রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও বগুড়া এলাকার সবজির মোকামগুলো থেকে কাঁচা সবজি কিনে থাকি। আর ঈদের পর মোকামগুলোতেই সব ধরনের পাইকেরি দরের সবজির দাম বেড়েছে। যে কারণে বেশি দামে কিনে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

এপ্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালিদ হাসান বলেন, আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখার চেষ্টা করে চলছি।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ