বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

ঈশ্বরদীতে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশনার সময়: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৫

পাবনার ঈশ্বরদীতে খায়রুল ইসলাম (৪২) নামের এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের আরও অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

খায়রুল ইসলাম চরগড়গড়ি গ্রামের নছিম প্রামাণিকের ছেলে। তিনি সাহাপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।

আহতরা হলেন- মসলেম মণ্ডলের ছেলে আব্দুল মজিদ মণ্ডল, জলিল ফকিরের ছেলে জামাত আলী ফকির, ইউসুফ আলীর ছেলে পিন্টু, শাহাদত হোসেনের ছেলে জমির উদ্দিন, জলিল ফকিরের ছেলে নাছির উদ্দিন ও রাসেল, আনছার প্রামাণিকের ছেলে সাজু প্রামাণিক, হানিফ হোসেনের ছেলে রব্বে হোসেন, সাত্তার হোসেনের ছেলে সানাউল্লাহ মণ্ডল, হিরাজ সরদারের চেলে কহর আলী সরদার, ইয়ারুল সরদারের ছেলে আলিম সরদার, হালিম মণ্ডলের ছেলে আলিম মণ্ডল, মোজাম প্রামাণিকের ছেলে জিল্লু প্রামাণিক ও ইছাহক হোসেন।

নিহতের ভাতিজা আলিফ হোসেন জানান, জমি সংক্রান্ত ঘটনার জেরে চরগড়গড়ি গ্রামের হুসেন আলী মাস্টারের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম, সামাদের ছেলে নুরুল ইসলাম, নায়েব আলীর ছেলে শাহীন ও ইয়ার আলী মৌলভীর ছেলে মজনুসহ ৩০-৩৫ জনের একটি গ্রুপের সঙ্গে একই গ্রামের আনছার আলী প্রামাণিকের ছেলে সাজু প্রামাণিক গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় খায়রুল ইসলাম দুই পক্ষের বিরোধ মিটাতে গেলে রিয়াজুল ও মজনুসহ তার সঙ্গে থাকা লোকজন দা দিয়ে ঘাড়ের নিচে কোপ দেয়। এরপর তার সঙ্গে থাকা লোকজন তাকে লাঠি দিয়ে গুরুতর আহত করে। তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

চরগড়গড়ি গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম সরদার জানান, সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১২ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, জমি সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পুলিশ মরদেহ হেফাজতে নিয়েছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ