ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ঠাঁয় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সেতু! ২৫ বছরেও নির্মিত হয়নি সংযোগ সড়ক

প্রকাশনার সময়: ২৮ মার্চ ২০২৪, ২১:৫১ | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪, ২১:৫৫

জামালপুরের মেলান্দহ ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের বীর এলাকার গোলডোবা খালের উপর প্রায় ২৫ বছর আগে নির্মিত সেতুর দুই পাশে আজও হয়নি সংযোগ সড়ক স্থাপন। এভাবেই ঠাঁয় হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ২৫ বছর ধরে। সেতুটির পাশেই রয়েছে গ্রামীণ মাটির সড়ক, সেখানে সেতু না থাকায় বর্ষা মৌসুমে ভোগান্তিতে পড়ে স্থানীয়রা।

সম্প্রতি সরজমিনে দেখা যায়, ইউনিয়নের বীর ঘোষেরপাড়া এলাকার গোলডোবা খালের ওপর নির্মিত সেতুর দুই পাশে কোনো রাস্তা নেই। সেতুর একটি পিলারের কাছে সামান্য পানি। শুকনা মৌসুম হওয়ায় খালে পানি না থাকার কারণে লোকজন সেতুর পশ্চিম পাশের সরু একটি মাটির রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে। সেতুর চার পাশে ফসলের মাঠ। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি ব্যবহার না হওয়ায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গোলডোবা খালের ওপর প্রায় ২৫ বছর আগে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। সেতু নির্মাণ করার পরে আর কোন সংযোগ সড়ক দেওয়া হয়নি। এভাবেই কেটে গেছে প্রায়ই ২৫ বছর। সড়ক নির্মাণের আগেই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। পরে ওই দিকে দিয়ে আর সড়ক নির্মাণ করা হয়নি।

বর্তমানে সড়কের যে পাশ দিয়ে রয়েছে সেই জায়গায় সেতুটি নেই। সড়ক থেকে ১০০ ফুট পূর্ব দিকে সেতুটি রয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে সেতু নির্মাণ করায় সেতুটি কাজে লাগেনি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। সরজমিনে দেখা গেছে, আবাদি জমির মাঠে সড়কবিহীন সেতু। নেই কোন সংযোগ সড়ক। গ্রামীণ মাটির কাঁচা সড়ক থেকে প্রায় ৫০ ফুট পূর্বদিকে সেতুটি। তাই সেতুটির সংযোগ সড়ক হয়নি, সেতুটি কখনো ব্যবহার হয়নি। তবে গ্রামীণ সড়ক দিয়ে ঘোষেরপাড়া এলাকার কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে। বর্ষা মৌসুমে পড়তে হয় ভোগান্তিতে। কাঁচা গ্রামীণ সড়কে বন্যার পানি আসতেই তলিয়ে যায়। সেতুর অভাবে পড়তে হয় ভোগান্তিতে।

এলাকার বাসিন্দা সরোয়ার আলম বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই দেখি এই অবস্থা সেতুর। জীবনে কেউ পা দিয়ে যাতায়াত করতে পারিনি। বর্তমানে যে পাশে সড়ক রয়েছে, সেই পাশে একটি সেতু নির্মাণ করা খুবই জরুরি। সড়ক থেকে প্রায় ৫০ ফুট দূরে ওই সেতুটি। ওইটা ভেঙে ফেলা উচিত।’

কৃষক সোলায়মান হোসেন বলেন, ‘ওই সেতু কাজে তো একদিনও লাগেনি বরং ক্ষতি হয়েছে। বন্যার সময় এদিক দিয়ে লঞ্চ চলাচল করে। নদীতে যখন পড়ে এসে, তখন ওই সেতুর নিচ দিয়ে লঞ্চ চালাতে হয়, এতো সমস্যা হয়। আর বন্যার পানি আসলেই মাটির কাঁচা সড়ক তলিয়ে যায়। তখন ওই জায়গায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে না হয় নৌকা দিয়ে চলাচল করতে হয়।’

ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম লিটু বলেন, ‘ওই সেতুটি অনেক আগে নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে ওই জায়গায় একটি সেতু নির্মাণ করা হবে। এলজিইডি ওই জায়গায় সেতু নির্মাণের জন্য পরিদর্শন করেছেন।’

মেলান্দহ এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী শুভাশীষ রায় বলেন, ‘এই বিষয়টি আমার জানা নাই, বিষয়টি না জেনে মন্তব্য করতে পারছি না।’

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো.সায়েদুজ্জামান সাদেক বলেন, ‘খোঁজখবর নিয়ে যেটুকু জানা গেছে, সেতুটি হয়তো উপজেলা পরিষদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় নির্মাণ করা হয়েছিল। এর বেশি কিছু জানা নেই।’

নয়াশতাব্দী/এনএইচ/ডিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ