সেমিফাইনালের স্বপ্ন ভেঙে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১৫৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৩ রানে পরাজিত হয়েছে দলটি। ২০ ওভারে ৮ উইকেট খুইয়ে ইনিংস শেষ করেছে ১৪৫ রানে। তাতেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে দলটির। সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিত হয়ে গেছে ভারতের সেমিফাইনালও।
রোববার (৬ নভেম্বর) টস জিতেই দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা নিয়েছিলেন ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত। তাদের বিপক্ষে ১৫৮ রান করেছিল নেদারল্যান্ডস। ম্যাচ জিততে প্রোটিয়ারদের প্রয়োজন ছিল ১৫৯। কিন্তু দলটি লক্ষ্য তাড়া করে বিজয়ী হতে ব্যর্থ হয়েছে। নেদারল্যান্ডের এই জয়ে বাংলাদেশের সামনে খুলে গেল সম্ভাবনার দুয়ার। এখন পাকিস্তানকে হারিয়ে দিতে পারলেই ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো আইসিসি টুর্নামেন্টের শেষ চারে চলে যাবে বাংলাদেশ।
এদিকে ডাচ ইনিংস শুরুর পর দুই ওপেনার স্টেফান মাইবার্গ আর ম্যাক্স ওডাউড মিলে শুরুটা দুর্দান্তই করেছিলেন। পাওয়ারপ্লের ছয় ওভারে তুলে ফেলেছিলেন ৪৮ রান। মাইবার্গ আর ওডাউডের এই জুটি থামে ৫৮ রানে।
এরপরই তোপের মুখে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২টি করে চার আর ছক্কায় ১৯ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি, তাতে ডাচ ইনিংস পায় বড় রানের দিশা। দলীয় ৯৭ রানে ওডাউড ফেরেন ৩১ বলে ২৯ রান করে, ১১২ রানে ফেরেন কুপারও।
তার বিদায়ের পর আবারও গতি হারিয়েছিল ডাচরা। শেষ পর্যন্ত ডাচরা সংগ্রহ করেছিল ১৫৮ রানের লড়াকু পুঁজি।
দক্ষিণ আফ্রিকা সেটাই পারেনি। দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক আর টেম্বা বাভুমাকে খুইয়ে বসে পাওয়ারপ্লেতেই। এরপরেও সেই একই দৃশ্যের অবতারণা দেখেছে অ্যাডিলেড ওভাল। থিতু হয়ে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এসেছেন সবাই। রাইলি রুশো, এইডেন মার্করাম, ডেভিড মিলারদের কেউই ২৫ এর বেশি রান করতে পারেননি। দলীয় ১২০ রানে যখন সপ্তম ব্যাটার হিসেবে হাইনরিখ ক্লাসেন বিদায় নিচ্ছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার পরাজয়টা নিশ্চিত হয়ে গেছে মূলত তখনই।
শেষ অবধি নির্ধারিত ২০ ওভার খেললেও ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানের বেশি করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ হয়ে থেকেছে রুশোর ২৫ রান।
নেদারল্যান্ডসের পক্ষে ২ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ব্র্যান্ডন গ্লোবার। দুই উইকেট করে নেন ফ্রেড ক্লাসেসেন ও ভাস ডি লিডে।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ