ঢাকা, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৬ জিলকদ ১৪৪৫

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে হলো না বাংলাদেশের সিরিজ জয় 

প্রকাশনার সময়: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০৩

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মতো রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে কিউইদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে এটি। জিতলেই অর্জনের খাতায় নতুন পালক যোগ হতো। কিন্তু তা পারল না বাংলাদেশ।

ব্যাটিং ব্যর্থতার পরে বোলারদের লড়াই যথেষ্ট হলো না। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয় অধরাই থেকে গেল টাইগারদের। বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশেকে ১৭ রানে হারিয়ে সিরিজ ড্র করেছে কিউইরা।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় মাঠে নামে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে স্যান্টনারের ঘূর্ণিতে ১৯.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১০ রানে শেষ হয় টাইগারদের ইনিংস। এরপরে ১৪.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান তুলে নিউজিল্যান্ড এবং তখনই শুরু হয় ঝড়োবৃষ্টি। এরপর খেলা শুরু না হওয়ায় ডিএলএস পদ্ধতিতে ১৮ রানে জয় পায় কিউইরা।

১১১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ১৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এরপরে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিয়ে ম্যাচটি জমানোর ইঙ্গিত দেয় শরীফুল-মেহেদী। ৪৯ রানের মধ্যে কিউইদের ৫ জন ব্যাটারকে বিদায় করেন তারা। এর মধ্যে টিম সেফার্ট ৩ বলে ১ রান, ড্যারিল মিচেল ৫ বলে ১ রান, গ্লেন ফিলিপস ৪ বলে ১ রান ও মার্ক চ্যাপম্যান ৫ বলে ১ রান করে আউট হন। মেহেদী হাসান নিয়েছেন সেফার্ট ও মিচেলের উইকেট। শরিফুল ফিরিয়েছেন ফিলিপস ও অ্যালেনকে। আর চ্যাপম্যান হয়েছেন রান আউটের শিকার।

একের পর এক উইকেট পড়লেও এক প্রান্ত ধরে রেখে খেলছিলেন ওপেনার ফিন অ্যালেন। শেষ পর্যন্ত তাকেও সাজঘরে পাঠান শরিফুল। ৩১ বলে ৩৮ রান করে সরাসরি বোল্ড হয়ে বিদায় নেন কিউই ওপেনার। সেময় অসম্ভব এক জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে বাংলাদেশ। তবে এরপরের ধাক্কা সহজেই সামলান জেমস নিশাম ও মিচেল স্যান্টনার। দুজনের ৩৭ বলে অপরাজিত ৪৬ রানের জুটি ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দেয় কিউইদের হাতে। এরপরই আসে বৃষ্টি।

বৃষ্টি পরে আর না থামায় ডিএলএস মেথডে এগিয়ে থাকায় ১৭ রানের জয় পায় নিউজিল্যান্ড।

এর আগে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে টস হেরে সিরিজে প্রথমবারের মতো ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে চলতি বছর শেষবারের মতো নামা টাইগারদের অবশ্য শুরুটা ভালো ছিল ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ এক চারে রানের খাতা খোলেন ওপেনার সৌম্য সরকার। তাতে আশায় বুক বাঁধে ক্রিকেট অনুরাগীরা। কিন্তু এরপরেই পথ হারানোর শুরু সেই সৌম্যকে দিয়েই। এরপর ক্রমেই টাইগারদের বিদায়ে বেড়েছে হতাশা। মিছিলে নাম লিখিয়েছেন আফিফ হোসেন, তাওহীদ হৃদয় ও মেহেদী হাসান ও শামিম হোসেন। কিউই অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারের শিকারে পরিণত হয়েছেন চারজনই।

ছন্দে থাকা শান্তকে বিদায় করেছেন অ্যাডাম মিলনে। এরপর বেন সিয়ার্সের বলে সাজঘরে ফিরেছেন রনি তালুকদার। তার ব্যাট থেকে আসে ১০ রান। আফিফ ফিরেন ১৪ করে। শরীরের অনেক বাইরের বল খেলার চেষ্টা করতে গিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ধরা পড়েন হৃদয়। তাতে ১৮ বলে ২ চারে ১৬ রানেই বিদায় নেন তিনি। মেহেদী ও শামিম যথাক্রমে ৪ ও ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন।

শেষ দিকের ব্যাটারদের কল্যাণে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১০০ পেরোয়। কিউইদের পক্ষে অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান আসে অধিনায়ক শান্তর ব্যাট থেকে ১৭।

নয়াশতাব্দী/একে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ