ঢাকা, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৬ জিলকদ ১৪৪৫

নতুন বছর শুরু হোক তওবায়

প্রকাশনার সময়: ৩১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:৪৯

নতুন বছর মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিগত একটি বছরের পর্যালোচনা ও নতুন এক বছরের পরিকল্পনা গ্রহণ করা সচেতন মুমিনের ঈমানি দায়িত্ব। ইংরেজি নববর্ষের সঙ্গে মুসলমানদের তেমন সম্পর্ক নেই। তাই ইংরেজি নববর্ষ পালন করা মুসলিম উম্মাহর জন্য কল্যাণকর নয়।

খ্রিষ্টানদের অনুকরণে ইংরেজি বছর শেষে নতুন বছরের শুরুতে ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ পালন করাকে ইসলাম সমর্থন করে না। এ রাতে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে অশ্লীলতা-নগ্নতা ও বেলেল্লাপনায় মেতে উঠে অনেকে। মদ পান, ছেলে মেয়ের যৌন উম্মাদনাসহ বিভিন্ন অনৈতিক, কর্মকাণ্ড ও নোংরা অনুষ্ঠান করে ইংরেজি নববর্ষকে বরণ করা হয়। যা ইসলামের দৃষ্টিতে গুরুতর অপরাধ।

মূলত এটা খ্রিষ্টানদের সংস্কৃতি হলেও প্রতি বছর অনেক মুসলিমও পালন করে থাকেন। কিন্তু এটা করতে গিয়ে আমরা অনেক সময় উচ্ছৃঙ্খল হয়ে পড়ি, শরিয়তের সীমালঙ্ঘন করে ফেলি। এটা মুসলমানদের সভ্যতা, সংস্কৃতি হতে পারে না; বরং এটা একটি অপসংস্কৃতি। থার্টি ফার্স্ট নাইট বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুসরণ এবং অশ্লীলতার মহাপ্লাবন। এটি সম্পূর্ণ বিজাতীয় সংস্কৃতি। একজন ঈমানদার মুসলমান ও রুচিশীল-সচেতন মানুষ কিভাবে বিজাতীয় সংস্কৃতি ও বেহায়াপনাকে সমর্থন করে তা বোধগম্য নয়।

বিজাতীয় সংস্কৃতি উদযাপন থেকে বিরত থাকতে কোরআন ও হাদিসে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া (ইসলামি রীতিনীতি) অন্য কোনো ধর্মের অনুসরণ করবে, কখনো তার সেই আমল গ্রহণ করা হবে না। আর পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ (সুরা আলে ইমরান : ৮৫)

নবীজী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে অন্য জাতির সঙ্গে আচার-আচরণে, কৃষ্টি-কালচারে সামঞ্জস্য গ্রহণ করবে সে তাদের দলভুক্ত বিবেচিত হবে।’ (সুনানে আবু দাউদ : ২৭৩২)।

আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক জাতির জন্য আমি একটি নির্দিষ্ট বিধান এবং সুস্পষ্ট পথ নির্ধারণ করেছি’। (সুরা মায়িদা : ৪৮)

রাসুল (সা. ) বলেন, ‘যদি তুমি খারাপ কাজ করো, আর তোমার খারাপ লাগে, ভালো কাজ করে ভালো লাগে তাহলে তুমি মুমিন। কিন্তু যদি খারাপ কাজ করে ভালো এবং ভালো কাজ করে খারাপ লাগে তাহলে তুমি মুমিন হতে পার না’। (মুসলিম : ১৯২৭)

একজন ঈমানদার নর-নারীর প্রতিটি দিন-রাত উৎসব ও আনন্দের। বছরে গুটি কয়েক দিন নয়; বরং প্রতিটি দিন আনন্দের। প্রতিটি দিন-ক্ষণ আমাদের জন্য মূল্যবান।

আমাদের দায়িত্ব হলো এই রাতে অনুশোচনা ও আত্মসমালোচনা করে আগামী বছরের কল্যাণ কামনা করা। সিজদাবনত হয়ে আল্লাহর সাহায্য চাওয়া। তওবা, ইস্তেগফার, দোয়া- দুরুদ, নফল নামাজসহ ভালো কাজ করা। আল্লাহর প্রিয় হওয়ার অফুরন্ত চেষ্টা করা। আমাদের নতুন বছর শুরু হোক তওবার মাধ্যমে।

লেখক : সাংবাদিক ও প্রিন্সিপাল, শ্রীমঙ্গল আইডিয়াল স্কুল, মৌলভীবাজার।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ