ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রোজায় গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে করণীয়

প্রকাশনার সময়: ১৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:০৩ | আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৬

রমজান মহান আল্লাহর রহমত এবং তার সান্নিধ্য লাভের সুবর্ণ সুযোগসংবলিত একটি মাস। এ সময় সারাদিন না খেয়ে উপবাস করা হয়। রোজাদাররা ইফতারের সময় এমনকি ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত সময়ে ভুলভাল খাবার নির্বাচন করে বসেন। এতে গ্যাস্ট্রিক বা বদহজমের মত সমস্যা দেখা দেয়।

তাই রোজায় গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে করণীয় কী, তা জেনে নেওয়া যাক।

১. অতিরিক্ত মশলাযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।

২. ইফতারের শুরুতেই লেবু পানি পান করা বাদ দিতে হবে।

৩. ইফতারের পর পরই চা, কফি কিংবা কোনো ধরনের ফাস্টফুড জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে।

৪. কেক, পেস্ট্রি, পাউরুটি পেটে গ্যাস তৈরি করে। তাই ইফতারির তালিকা থেকে এসব খাবার বাদ দেওয়া বা পরিমাণে খুব কম রাখা যেতে পারে।

৫. একসঙ্গে অনেক পানি পান না করে কিছুক্ষণ পর পর অল্প অল্প করে পানি পান করতে হবে।

৬. প্রকৃতির ডাক পেলে সারা দিতে বাধ্য থাকবেন, অর্থাৎ আটকে রাখবেন না।

গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে ইফতারিতে যা খাওয়া যেতে পারে

১. ইফতারের আয়োজনে তাজা ফল যেমন– বাঙ্গি, পেঁপে, আখ ইত্যাদির রস পান করা ভালো।

২. তাজা ফলের রসের বিকল্প হতে পারে ইসবগুলের ভুষি অথবা তোকমার দানা মিশ্রিত শরবত।

৩. কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন যারা তাদের জন্য পাকা পেঁপে দারুণ উপকারি।

৪. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন, তবে একটু একটু করে।

৫. হজমশক্তি ভালো রাখতে শসার সালাদ হতে পারে গ্যাস্ট্রিক রোগীর জন্য মহৌষধ।

৬. মাগরিবের আজানের পর দুই থেকে তিনটি খেজুর খেয়ে পানি পান করে নামাজ পড়ে নিতে পারেন। এতে খাবারে কিছুক্ষণ বিরতি পড়বে। নামাজের পর অন্যান্য খাবার গ্রহণ করলে পেট ফাঁপা কিংবা অস্থির লাগা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

৭. ইফতারির আয়োজনে কম তেলে রান্না নুডুলসের সঙ্গে সালাদ, বা পায়েস, স্যুপ খাওয়া যেতে পারে।

নয়াশতাব্দী/ডিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ