২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে দিনব্যাপী গণহত্যার আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
এছাড়া উন্মুক্ত লাইব্রেরির পক্ষ থেকে ‘গণহত্যা’ শিরোনামে বিশেষ একটি সাময়িকীও প্রকাশ এবং একাত্তরের ২৫ মার্চের গণহত্যার শহীদদের অন্যতম মধুসূদন দে (মধুর ক্যান্টিন যার নামে সেই মধু দা’) ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাকিম বীর বিক্রমের পরিবারের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।
সাময়িকী উন্মোচন ও সম্মাননা হস্তান্তর উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত এবং উন্মুক্ত লাইব্রেরির উদ্যোক্তা ডাকসুর সাবেক সদস্য ও ছাত্রলীগের সমাজসেবা বিষয়ক উপ-সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।
একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে এ সময় বক্তারা বলেন, একাত্তরের শহীদ ও নির্যাতিতের সংখ্যা নিয়ে জল ঘোলা না করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য দলমত-নির্বিশেষে সকলে একসঙ্গে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আর্মেনিয়ার গণহত্যা যেমন ১০০ বছর পর এসে হলেও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে, তেমনি আমাদেরটাও পাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুদ্ধকালীন স্মৃতিচারণ করে অজয় দাশ গুপ্ত বলেন, ‘১৯৬৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বটের চারা রোপণ করা হয়। এই বটতলায়ই উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান হয়। একাত্তরের ২ মার্চ বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন করা হয়। আমাদের মিছিল মিটিং করতে দেওয়ার জন্য মধু দা’র প্রতি তাদের ক্ষোভ ছিল। কালরাতে হানাদার বাহিনী শহীদ মিনারও ধ্বংস করে দেয়।
টিক্কা খানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আপনারা ভাবতে পারেন, ১৯৭১ সালে টিক্কা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ছিলেন। একজন আচার্যের কাজ হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করা। কিন্তু উপাচার্যের ভবনের সামনে আপনারা দেখতে পাবেন ১৯৫ জন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীর নাম লেখা রয়েছে। স্বাধীনতার জন্য একটিমাত্র প্রতিষ্ঠান থেকে এতজন লোকের জীবন দানের ইতিহাস পৃথিবীর কোথাও পাবেন না। সেই হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ছিল এ টিক্কা খান। তার নির্দেশেই বট গাছটি সমূলে উপড়ে ফেলা হয়।
নয়া শতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ