সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

শুল্ক-করারোপে ক্ষতিগ্রস্ত সিমেন্ট খাত : বিসিএমএ

প্রকাশনার সময়: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১৬:৩৭

জ্বালানি সংকট, পরিবহন ভাড়া ও ডলারের দাম বৃদ্ধি। এর মধ্যে গত নভেম্বর থেকে সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল লাইমস্টোনের ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও তিন শতাংশ অগ্রিম আয়করের সঙ্গে অতিরিক্ত দুই শতাংশ অগ্রিম আয়করারোপ করা হয়েছে। আকস্মিক এ শুল্ক-করারোপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিমেন্ট খাত। যা দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বাধার সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করেন সিমেন্ট শিল্প মালিকেরা।

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) গুলশানের হোটেল আমারিতে বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ তথ্য তুলে ধরেন সংগঠনটির সভাপতি মো. আলমগীর কবির।

বিসিএমএ সভাপতি বলেন, সিমেন্ট উৎপাদনের জন্য প্রধান কাঁচামালগুলো আমদানি করা হয়। সিমেন্ট শিল্পের কাঁচামাল লাইমস্টোনের ওপর আকস্মিক ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও তিন শতাংশ অগ্রিম আয়করের সঙ্গে আরও ২ শতাংশ অতিরিক্ত অগ্রিম আয়কর আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি লাইমস্টোন আমদানিতে আগে থেকেই ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর ও ৩ শতাংশ অগ্রিম কর বিদ্যমান রয়েছে। লাইমস্টোনের ওপর আকস্মিক সম্পূরক শুল্ক ধার্যের কারণে এ খাত ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

অতিরিক্ত শুল্কায়নের ফলে বর্তমানে আমদানি মূল্যের ওপর ২৭ শতাংশের পরিবর্তে প্রায় ৬৭ শতাংশ শুল্ক ও কর পরিশোধ করে লাইমস্টোন ছাড় করাতে হচ্ছে জানিয়ে আলমগীর কবির বলেন, সিমেন্ট উৎপাদনের জন্য প্রধান কাঁচামাল হলো- ক্লিংকার, স্লাগ, লাইমস্টোন, ফ্লাই অ্যাশ এবং জিপসাম। এ ৫ ধরনের কাঁচামালই আমদানি করতে হয়।

তিনি বলেন, আমদানি পর্যায় ছাড়াও বিক্রয় পর্যায়েও ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর ধার্য করা আছে। অর্থাৎ একটি সিমেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান লোকসান করলেও চূড়ান্ত কর দায় হিসেবে এ অগ্রিম আয়কর পরিশোধ করতে হবে যা কোনো বিবেচনায়ই গ্রহণযোগ্য নয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে সিমেন্ট শিল্পের জন্য অগ্রিম আয়কর এর কারণে দূরাবস্থার বিষয়টি বহুবার তুলে ধরেছি। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল বিষয়টি যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে না, যার ফলে দেশের একটি উদীয়মান শিল্প খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

নয়াশতাব্দী/এফআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ