ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

হারভেস্টার মেশিনে কৃষকের মুখে হাসি

প্রকাশনার সময়: ১৪ নভেম্বর ২০২২, ১৩:৫৯

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় চলতি মৌসুমে আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। এসব কাজে ব্যবহার করছেন ‘হারভেস্টার’ মেশিন। যার মাধ্যমে ধান মাড়াইয়ের কাজ করা যাচ্ছে। দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে এ মেশিন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর শহরের আমরুলবাড়ী, বগুলাগড়ী, ডাঙাপাড়া, বাবুল্লাপাড়াসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ধান মাড়াই হারভেস্টার মেশিনের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। এই মেশিনই শ্যালো চালিত বোমারু মেশিন নামে এলাকায় পরিচিত। মোট ৩ থেকে ৪ জন লোক হলেই কাজ হয়ে যায়। দুজন মেশিনে থাকেন আর দুজন ধানের আঁটি মাড়াইয়ের কাজে থাকেন। প্রতিবিঘা ধান মাড়াই করতে মেশিন মালিককে দিতে হচ্ছে মাত্র ৬শ টাকা। যা আগে কৃষকদের পড়তো দেড় থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত।

আমরুলবাড়ী এলাকার কৃষক শাহিন আলম জানায়, হারভেস্টার অটো মেশিন ছাড়া অন্য মেশিন দিয়ে ১ বিঘা ধান মাড়াই করতে ২ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। তাছাড়া ধান জমানো, খড় আবর্জনা পরিষ্কার করতে শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। এতে অনেক সময় ব্যয় হয়। আর এতো সময় এখন পাওয়াও যায় না। এখন এ মেশিনের মাধ্যমে প্রতিবিঘা জমি ১৫-২০ মিনিটেই ধান মাড়াই কাজ শেষ হয়ে যাচ্ছে।

আরেক কৃষক সেলিম হোসেন বলেন, একদিকে শ্রমিক সংকট, অন্যদিকে ধান মাড়াইয়ে অতিরিক্ত খরচ হত। তাই দ্রুততার সাথে কৃষি যান্ত্রিক মেশিনের মাধ্যমে ধান মাড়াই করাতে পারায় আমি খুবই খুশি।

পৌরসভার বগুলাগাড়ী এলাকার কৃষক নজরুল হোসেন বলেন, এ মৌসুমে ৮ বিঘা জমিতে আমন ধান আবাদ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। আশা করছি ৮ বিঘা জমিতে কম করে হলেও ১২০ মণ ধান হবে। যা বর্তমান বাজার দর প্রতিমণ ১২শ টাকা হলে খরচ বাদেও ১ লাখ টাকা ঘরে ঢুকবে বলে আশা করছেন এ কৃষক।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ বলেন, পুরো উপজেলায় ২২ হাজার ৯শ’৩২ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমির ধান কর্তন করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল ও কৃষি অফিসের পরামর্শ গ্রহণ করায় চলতি মৌসুমে উপজেলায় রোপা ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ