পটুয়াখালীতে ভোগ্যপণ্যের বাজারে নেই স্বস্তি। এমন কোনো পণ্য নেই যার দাম বাড়েনি। চড়া দ্রব্যমূল্যে আঁতকে উঠছেন মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও খেঁটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম।
ভোজ্যতেলের বাজারে কারসাজি তো রয়েছেই। অন্যদিকে বিশ্ব বাজারে গমের দাম কমলেও, দেশের বাজারে বাড়ছে আটা ময়দার দাম। চালের বাজারেও অস্থিরতা। মাছ-মাংসের বাজারে আগুন। এসবের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শাক-সবজির দাম। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির চাপও সবার আগে এসেছে সাধারণ মানুষের ওপরে। পোশাক, খাদ্যপণ্য, চিকিৎসাব্যয় সব দিকেই বাড়তি অর্থ গুণতে হচ্ছে। আর এ সব কিছুর দাম বৃদ্ধির চাপে সবার আগে চিড়ে চ্যাপ্টা স্বল্প আয়ের মানুষ।
দিনমজুর শহিদুল ইসলাম বলেন, আগে নিত্যদিনই কাজ পাইতাম। কোনো দিন কাজ না পেলে বাড়িতে থেকে বাড়ির কাজ করতাম। একদিকে সব জিনিসের দাম বেশি, অন্যদিকে এখন আর আগের মতো কাজ পাই না। আমাদের চলতে খুবই কষ্ট হয়। গরিবের কষ্ট কেউ দেখে না। মধ্যবিত্তের তো কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, আমাদের নিরব কান্না শোনার কেউ নেই। ধারকর্য করে সংসার চালাচ্ছি।
এক মধ্যবিত্ত পরিবারের কর্তাব্যক্তি সামসুল হক রাড়ি। থাকেন উপজেলার বাশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দাস পাড়া এলাকায়। মাসিক ২৬ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করেন তার স্ত্রী। তিনি কাজ করেন স্থানীয় সার্ভেয়ার হিসেবে। স্বামী-স্ত্রী ও তিন সন্তানের সংসার চলে এই আয়ে। কিন্তু সব কিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন আর কুলাচ্ছে না দু’জনের আয়ের টাকায় -জানান সামসুল হক রাড়ি।
অন্য আরেক মধ্যবিত্ত পরিবারের কর্তাব্যক্তি ইব্রাহিম আহাম্মেদ অরবিল জানান, নিজে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেন। ছেলেমেয়ে ঢাকায় লেখা পড়া করে। নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যের কারণে সন্তানদের পড়াশোনার খরচ বহন করে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ