ঢাকা, রোববার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন কক্সবাজারের মানুষ

প্রকাশনার সময়: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৪

কক্সবাজারে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির পানি চেয়ে মহান আল্লাহর দরবারে সাহায্য চেয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে মুনাজাত করেন তিন শতাধিক মানুষ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে শহরের হাশেমিয়া কামিল মাদরাসা মাঠে প্রচন্ড রোদে দাঁড়িয়ে ইসতিসকার (বৃষ্টির জন্য যে নামাজ পড়া হয়) নামাজ আদায় করেন তারা।

হাশেমিয়া মাদরাসার আয়োজনে স্থানীয় বিভিন্ন বয়সী মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে দুহাত তুলে মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করে গরম থেকে মুক্তি, ফসল রক্ষা ও বৃষ্টির জন্য দোয়া করেন তারা। এসময় চোখের পানি ফেলে মহান আল্লাহর নিকট ক্ষমা চেয়ে বৃষ্টি প্রার্থনা করেন তারা।

মুসল্লিরা জানান, এ বছর গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপে পুড়ছে দেশ। কোথাও স্বস্তি নেই। শিশু ও বৃদ্ধরা কঠিন সময় পার করছেন। শুকিয়ে যাচ্ছে কৃষকের ফসলের মাঠ। তাই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে বৃষ্টির জন্য নামাজ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টার দিকে নামাজ আদায় করার কথা থাকলেও সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয় নামাজ। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও রাজনৈতিক নেতারা অংশ নেন।

মুসল্লি আব্দুল জাব্বার বলেন, প্রচন্ড তাপ। বিভিন্ন স্থানে নলকূলে পানি উঠছে না। খেত নষ্ট হচ্ছে। তাই বৃষ্টি চেয়ে নামাজের মাধ্যমে কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে সবাই দোয়া করেছেন।

এম ইউ বাহদুর নামে আরেক মুসল্লি বলেন, দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ, পশুপাখি গাছপালাসহ সবাই কষ্টে আছে। সে জন্য আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চেয়ে নামাজ পড়েছি।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কোরআন-হাসিদের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের কারণেই মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। সে জন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে পাপের জন্য তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন।

ইমামদের মতে, বৃষ্টির জন্য পরপর তিনবার এই সুন্নত নামাজ আদায় করার নিয়ম রয়েছে। যখন অনাবৃষ্টি হতো তখন রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। রসুলের এই সুন্নত অনুসরণ করেই নামাজের পর দোয়া করা হয়েছে। যুগে যুগে মহান আল্লাহ নানারকম বিপদ ও দুর্যোগ দিয়ে পরীক্ষা করেন। অতিরিক্ত পাপের কারণে এমন অনাবৃষ্টি হওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে পবিত্র হাদিসে। তবে ইনশাআল্লাহ, মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকল গোনাহ মাফ করে শিগগিরই রহমতের এই বৃষ্টি দিয়ে মানবজাতির কল্যাণ করবেন।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গেল সপ্তাহে এভারেজ হিসেব করলে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তবে ১৩ এবং ১৪ এপ্রিল মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৮ ডিগ্রি সেলিসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে কক্সবাজারে।

নয়াশতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ