ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ফেনারবাক ইউপিতে ভোগান্তি ছাড়াই মিলছে নাগরিক সেবা

প্রকাশনার সময়: ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৯

কোনো প্রকার ভোগান্তি এবং হয়রানি ছাড়াই নাগরিক সেবা মিলছে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ৩নং ফেনারবাক ইউনিয়ন পরিষদে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্মনিবন্ধন সনদ, মৃত্যু সনদ, পরিচয়পত্র, নাগরিকত্ব সনদ কিংবা ট্রেড লাইসেন্সসহ নানা সনদ আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্ধারিত সময়েই পাচ্ছেন নাগরিকরা।

সরকার প্রদত্ত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মস‚চির আওতায় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বিনামূল্যে ভুক্তভোগীদের মাঝে বিতরণ করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল চন্দ্র তালুকদার ও ইউপি সদস্যরা। নাগরিকদের সেবা গ্রহণ করতে ধরতে হচ্ছে না কোনো দালালকে। ফলে সহজেই কাঙ্খিত সেবা পেয়ে সন্তুষ্টি নাগরিকরা।

সরেজমিন ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গেলে ভোগান্তি ছাড়াই সেবা পাওয়ার কথা জানান কয়েকজন ভুক্তভোগী। তারা বলছেন, অন্যান্য ইউনিয়ন পরিষদে জন্মনিবন্ধন থেকে শুরু করে সকল সেবা গ্রহণ করতে নানান ভোগান্তি আর হয়রানির শিকার হতে হয়। কিন্তু ফেনারবাক ইউনিয়ন পরিষদের কোনো সেবা নিতে হয়রানির শিকার হতে হয় না।

করুনা সিন্ধু তালুকদার ফেনারবাঁক ইউনিয়ন পরিষদের ৭ বারের নির্বাচিত ও সুনামগঞ্জ জেলার ২ বারের স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। পরে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন তার ছেলে কাজল চন্দ্র তালুকদার। তিনিও বিপুল ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে চেয়ারম্যান কাজলের প্রচেষ্টায় প্রতিনিয়ত সেবা পাচ্ছে নাগরিকরা।

রাজাপুর গ্রামের সাঈদুর রহমান বলেন, কিছু দিন আগে বাচ্চার জন্মনিবন্ধন করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছিলাম,

সরকার নির্ধারিত মূল্যে ভোগান্তি ছাড়াই সেবা পেয়েছি। এতে পরিষদের প্রতি আমাদের আস্থা ফিরেছে।

গজারিয়া গ্রামের বাসিন্দা দিলোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান কাজল দায়িত্ব গ্রহণ করার পর পরই নাগরিক সেবা বেড়েছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে যথাসময়ে সেবা পাচ্ছে মানুষজন।

২নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল চন্দ্র তালুকদার এর দিকনির্দেশনায় পুরো পরিষদের সদস্যরা সবসময় জনগণের সেবায় নিয়োজিত আছেন। একজন ইউপি সদস্য হিসেবে আমিও সবসময় সঠিক সময়ে সঠিক সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। পরিষদে সেবা নিতে আসা সেবাগ্রহীতারা ভোগান্তি ছাড়াই সকল সেবা পাচ্ছেন।

ফেনারবাক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল চন্দ্র তালুকদার বলেন, আমি সবসময় চেষ্টা করি সঠিক সময়ে সরকারের বিভিন্ন সেবা ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বাসিন্দাদের দেওয়ার। পরিষদের সকল সদস্যদেরও বলেছি সেবা নিতে আসা সেবাগ্রহীতারা যেন কোনো ভোগান্তিতে না পড়ে। তারাও কথামতো যথাযথ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সরকার প্রদত্ত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সকল সুবিধা বিনামূল্যে সঠিক ব্যক্তির হাতে পৌঁছে দেওয়া জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, এই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমার বাবা ৭ বারের নির্বাচিত ও সুনামগঞ্জ জেলার ২ বারের স্বর্ণপদক পাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বাবার ঐতিহ্য ধরে রাখতে পরবর্তীতে আমি চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়, জনগণের আস্থা এবং বিশ্বাস আছে বলেই তারা আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। তাই তাদের কাছে আমি দায়বদ্ধ। তাদের কাঙ্খিত সেবা দিতে কখনও পরিষদের কোনো সদস্যের গাফিলতি করার সুযোগ নেই।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ