ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

বারের সামনে নারীদের চুলোচুলির ঘটনায় যা জানাল ডিবি 

প্রকাশনার সময়: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৫ | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০০

গুলশান-২ নম্বরের ক্যাফে সেলেব্রিটা বারের সামনে কয়েকজন নারী মিলে আরেক নারীকে মারধরের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। িডিবি বলছে, তারা অতিরিক্ত মদ পান করে মাতাল হয়ে মারামারিতে জড়ান।

রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

গ্রেপ্তার হওয়া তিন নারী হলেন- শারমিন আক্তার মিম (২৪), ফাহিমা ইসলাম তুরিন (২৬) ও নুসরাত আফরিন।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আমরা এই নগরে সবাই বাস করি। নগরে বাস করতে গেলে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। মদ খাওয়ার জন্য কোনো পুরুষ বা নারীর লাইসেন্স থাকলে বৈধ বার থেকে মদ পান করতে পারে। এতে আইনগত কোনো বাধা নেই। কিন্তু পয়লা বৈশাখের রাতে গুলশানের মতো একটি এলাকা যেখানে অভিজাত পরিবারের লোকদের বসবাস, সেখানে তারা মদ পান করেছেন। কারো কোনো লাইসেন্স ছিল না। লাইসেন্সহীন কারো কাছে বার কর্তৃপক্ষ মদ বিক্রি করতে পারে না। তাদের উচিত ছিল এসব নারীর মদের লাইসেন্স পরীক্ষা করা। এমনকি এই নারীদের কাছে অতিরিক্ত পরিমাণে মদ বিক্রি করেছে তারা। যা পান করে মাতাল ও বেসামাল হয়ে গেলেন তারা।

তিনি আরও বলেন, বারের লোকজনের বেসামাল নারীদের নিয়ন্ত্রণ করা উচিত ছিল। এই নারীরা বার থেকে বের হয়ে রাস্তায় গিয়ে প্রকাশ্যে মারামারিতে জড়ালেন। যা গুলশানের বাসিন্দারা দেখলেন। তারা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিলেন।

গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান বলেন, আমি মনে করি আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ এই ভিডিও দেখে ভাববে, শহরের রাস্তায় নারীরা মাতলামি করবে, মারামারি করবে! এটা কোনো অভিভাবক মেনে নিতে পারবেন না। এসব নারীরা কারো না কারো সন্তান। তাদের অভিভাবকদের উচিত মেয়েরা কোথায় যায়, কী করে সেদিকে খেয়াল রাখা। আজ এই নারীরা বারে গিয়ে মদ পান করে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। যে মেয়েকে তারা মেরেছেন সেই মেয়েটিও মাতাল ছিলেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যে বারগুলো লাইসেন্স ছাড়া মদ বিক্রি করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।

এদিকে, মারধরের শিকার রিতা আক্তার সুমি নামে ভুক্তভোগী ওই নারী সাংবাদিকদের বলেন, আমি ও আমার এক বন্ধু খাবার খেতে ওই রেস্তোঁরায় যাই। খাওয়ার এক পর্যায়ে টয়লেটে যাওয়ার জন্য গিয়ে দেখি চারটি মেয়ে একসঙ্গে টয়লেটে প্রবেশ করেছে। বিষয়টি রেস্তেরাঁর ম্যানেজারকে বলি। তারা ওই মেয়েদের বের করে দেন। পরে আমি রেস্তেরাঁ থেকে বের হওয়ার সময় তারা আমার ওপর হামলা করে।

তিনি বলেন, আমাকে চড়-থাপ্পড় দিতে পারত। কিন্তু রাস্তার মধ্যে আমার কাপড় খুলে ফেলে তারা। আমাকে মারধর করে। আমি তাদের সঠিক বিচার চাই। রাস্তায় একটা মেয়ে হয়ে আরেকটা মেয়ের কাপড় খুলে ফেলতে পারে না।

নয়াশতাব্দী/একে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ