ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৭ জিলকদ ১৪৪৫

জিম্মি নাবিকদের মুক্তিপণ চূড়ান্ত, ঈদের আগেই মিলতে পারে মুক্তি

প্রকাশনার সময়: ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪৪

সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ২৩ নাবিককে মুক্ত করতে মুক্তিপণের অঙ্ক চূড়ান্ত করা হয়েছে। বীমা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জলদস্যুদের সঙ্গে মুক্তিপণের অর্থ নিয়ে দরকষাকষির পর টাকার পরিমাণ নির্ধারিত হয়। তাই ঈদের আগেই মিলতে পারে মুক্তি।

শনিবার (৬ এপ্রিল) বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সূত্রে জানা গেছে, সোমালীয় জলদস্যুদের কাছে কিভাবে মুক্তিপণ পৌঁছানো হবে তা আলোচনা করা হয়েছে। এবার জিম্মি নাবিকদের মুক্তি দিনক্ষণ নিয়ে আলোচনা করা হবে। ঈদের আগেই জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করতে বীমা প্রতিষ্ঠানকে চাপ দিচ্ছে জাহাজটির মালিক-পক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ। তবে জলদস্যুরা মুক্তিপণের টাকা পাওয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত মুক্তির তারিখ দিচ্ছে না। মুক্তিপণ দিয়ে নাবিকদের মুক্ত করার বিষয়ে অগ্রগতির কথা স্বীকার করেছে এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষ। তবে মুক্তিপণের অঙ্ক কত, জানাতে নারাজ কেএসআরএম গ্রুপ।

অন্যদিকে, জিম্মি জাহাজটিকে দেশে আনতে বিকল্প ২৩ নাবিককে প্রস্তুত করে রেখেছে মালিকপক্ষ।

কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, নাবিকদের মুক্ত করার ব্যাপারে ভালো অগ্রগতি হয়েছে। বীমা প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু বলা যাবে না। জিম্মি নাবিকদের মুক্তির দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলে আমরা সবাইকে জানিয়ে দেব।

তিনি বলেন, মুক্তিপণ ছাড়া সোমালীয় জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার নজির নেই। দয়া করে আর বেশি কিছু জানতে চাইবেন না।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশেনের সংগঠনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, আমরা যতটুকু জেনেছি, জিম্মি নাবিকদের মুক্ত হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চাপের কারণে এবারে মুক্তিপণের টাকা পেতে জলদস্যুদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। কোন প্রক্রিয়ায় তারা মুক্তিপণের টাকা পাবে, সে বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার আগে তাই জিম্মিদের মুক্তির দিনক্ষণ ঘোষণা করছে না তারা। তবে ঈদের আগে নাবিকরা মুক্ত হচ্ছেন না– এটি অনেকটা নিশ্চিত।

মুক্তিপণ প্রদানের বিষয়টি তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয় জানিয়ে ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী জানান, জাহাজের মালিকপক্ষ প্রথমে যোগাযোগ করে বীমাকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। এরপর আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বীমাকারী প্রতিষ্ঠান। মধ্যস্থতাকারীরা জলদস্যুদের প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করে। এই তিন পক্ষ পরস্পর আলোচনা করে মুক্তিপণের অঙ্ক ও প্রদান প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে। মুক্তিপণের টাকা ভাগ হয় পাঁচ ভাগে। জলদস্যুরা নিজেদের মধ্যে টাকা ভাগ করে তিনটি স্তরে। এই ভাগ যায় মধ্যস্থতাকারী ও মুক্তিপণের টাকা পরিবহন করে দেওয়া গ্রুপের কাছেও। ১৪ বছর আগে এমভি জাহান মণি জাহাজের ক্ষেত্রেও এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছিল।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ