ঢাকা, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৬ জিলকদ ১৪৪৫

সাদামাটা আয়োজনে সিকৃবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

প্রকাশনার সময়: ০২ নভেম্বর ২০২৩, ২১:৪৮

সাদামাটা আয়োজনে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। এরই মধ্য দিয়ে ১৮তে পদার্পণ করলো বিশ্ববিদ্যালয়টি। তবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কোনো অনুষ্ঠান না দেখে হতাশার ছাপ প্রকাশ পেয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সামনে থেকে আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর বেলুন ও ফেস্টুন এবং কবুতর উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভুঞা।

এরপর কেক কাটা ও শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন সম্পন্ন হয়।

এমন অনাড়ম্বর আয়োজনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক অনেক শিক্ষার্থী।

সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কোনো প্রোগ্রামই হচ্ছে না। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রোগ্রাম নেই এটা কোনোভাবেই মানা যাচ্ছে না। এখানে কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতার অভাব স্পষ্টতই প্রতীয়মান হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, শুধু এবার না ২০১৬ এর পর আর জাঁকজমকভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন হয়নি। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বিগত সময়ে কয়েকটি কনসার্ট আয়োজন হলেও বরাবরের মতোই এবারেও ঢিলেঢালাভাবে আয়োজন হচ্ছে।

এর আগে, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভুঞা বলেন, প্রতিষ্ঠার সতেরো বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয় অনেক সাফল্য অর্জন করেছে, বিশেষ করে শিক্ষা ও গবেষণায়। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্কলারশিপ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ও গবেষণায় যুক্ত আছেন।

তিনি আরও বলেন, বড় করে অনুষ্ঠান করার পিছনে সবচেয়ে বড় যে দুইটি প্রতিবন্ধকতা এবার দেখা দিয়েছে তার একটি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সামর্থ্য ও দেশের বর্তমান পরিস্থিতি। দেশে বর্তমানে একটি রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। এবার ব্যাপক পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন সম্ভব না হলেও বিভিন্ন মাইলফলক যেমন ২০ বছর বা ২৫ বছর ব্যাপক আকারে পালন করার আশ্বাস প্রদান করেন।

এ ছাড়াও তিনি সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাকে নিজ নিজ কাজে আস্থা এবং বিশ্বাস তৈরি করে কাজ করার আহ্বান জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দফরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আতিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর ড. মো. মনিরুল ইসলাম সোহাগ, রেজিস্ট্রার মো. বদরুল ইসলাম শোয়েব, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শাহ আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সাদ উদ্দিন মাহফুজ, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম , সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবু জাফর ব্যাপারীসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, দফতর প্রধান, সিকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইমাদুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন লেভেল ও অনুষদের শিক্ষার্থীবৃন্দ।

নয়া শতাব্দী/এসএ/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ