ঢাকা, রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

ফ্রিল্যান্সিংয়ে মাসে দুই লাখ আয় ফুয়াদের

প্রকাশনার সময়: ২৭ জুলাই ২০২৩, ১৫:৫১

পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা আয় করছেন মো. ফুয়াদ হাসান ফারাবী। মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এ শিক্ষার্থী নিজে আয় করার পাশাপাশি অন্যদেরও প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।

২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষে পড়াকালীন হঠাৎ একদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউবে একটি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত ভিডিও দেখেন ফুয়াদ হাসান ফারাবী। এরপরে ফ্রিল্যান্সিংয়ে ক্যারিয়ার গড়া সফল ব্যক্তিদের ভিডিও দেখে তার এ পথে আসার আগ্রহ জন্মায়। পরে তিনি ফ্রিল্যান্সিং ফিল্ড সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন এবং কাজের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করেন। সেই সঙ্গে ইউটিউব ও বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল প্লাটফর্ম থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা শুরু করেন। বন্ধু-বান্ধবদের সহযোগিতায় ও এক বড় ভাইয়ের মেন্টরিংয়ে থেকে কাজগুলো শেখেন। কাজ শেখার পর ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একটি একাউন্ট খোলেন ফুয়াদ।

এর চারমাস পর তিনি প্রথম একটি কাজ পান। প্রথম কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করে ক্লায়েন্টের কাছ থেকে ১২ ডলার টিপস-সহ মোট ৭২ ডলার পান। এর মাধ্যমেই ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের আয় শুরু হয় তার।

বর্তমানে ফুয়াদ বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অন্তর্ভুক্ত এবং ফ্রিল্যান্সিং ক্যাটাগরির ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে লেভেল ৪ অবস্থানে আছেন। তিনি সরকারি তালিকাভুক্ত একজন ফ্রিল্যান্সার। এ বিষয়ে বিভিন্ন সরকারি ইভেন্টে আমন্ত্রণ পেয়ে থাকেন।

ফুয়াদ জানান, ফাইভার মার্কেটপ্লেসে টপ রেটেড সেলার হওয়ার পর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আগ্রহী অনেকেই তার কাছে শেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরপর ২০২১ সাল থেকে কয়েকজনকে নিয়ে তিনি অনলাইন প্লাটফর্ম জুমের মাধ্যমে শেখানো শুরু করেন। পরবর্তীতে এর বাইরেও আরও দুটি প্রতিষ্ঠানে শেখানোর প্রস্তাব পান

নতুন যারা ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে চায় তাদের জন্য পরামর্শ হিসেবে তিনি বলেন, ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারটি পুরোপুরি শ্রম এবং সময়ের ওপর নির্ভরশীল। ধৈর্য ও আগ্রহের সঙ্গে নিয়মিত এ কাজে লেগে থাকতে হয়। এ কাজের জন্য মার্কেটপ্লেসের ওপর নির্ভর করে থাকতে হয় না। নিজে স্কিল ডেভেলপ করে নিজেই নিজের আয়ের উৎস বের করে ফেলা সম্ভব। বর্তমানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নির্ভর কাজগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ভবিষ্যতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সবগুলো সেক্টর দখল করে ফেলতে পারে। তাই নতুনদের এ বিষয়ে জানতে হবে।

নয়াশতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ