ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

‘জাতিগতভাবে পাটের তৈরি পণ্য ব্যবহারে আমরা হীনমন্যতায় ভুগি’

প্রকাশনার সময়: ০৫ জুন ২০২৩, ১৯:০১

জাতিগতভাবে পাটের তৈরি পণ্য ব্যবহারে আমরা হীনমন্যতায় ভুগি বলে জানিয়েছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দিন ভূঞা।

সোমবার (৫ জুন) ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ উপলক্ষ্যে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে ক্যাম্পাসে র‍্যালি ও বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত হয়। র‍্যালিটি দুপুর ১টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে প্রধান ফটক হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে কৃষি অনুষদ ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সহযোগী অধ্যাপক ড. রানা রায়ের সঞ্চালনায় র‍্যালি পরবর্তী সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য শিক্ষক, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেন, ‘আমরা পরিবেশের কি পরিমাণ ক্ষতি সাধন করেছি তা এই তপ্ত রোদে টের পাচ্ছি। অবাধ প্লাস্টিকের ব্যবহার আর যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা আমাদের একটা বদঅভ্যাসে পরিণত হয়েছে। প্লাস্টিক আমাদের পরিবেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা স্কুল পর্যায়ের শিক্ষাব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে শিশুদের বুঝাতে হবে।’

জাতিগতভাবে পাটের তৈরি পণ্য ব্যবহারে আমরা হীনমন্যতায় ভুগি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই হীনমন্যতায় আমাদের প্লাস্টিক ব্যবহারমুখিতা বাড়িয়ে দিচ্ছে।’ এ ছাড়াও তিনি প্লাস্টিকের অবাধ ব্যবহার ও যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা থেকে সংযত থাকতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীসহ সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সামিউল আহসান বলেন, ‘আমাদের পরিবেশের যে ক্ষতি আমরা ইতোমধ্যে করে ফেলেছি তার জন্য সচেতনতা এবং বৃক্ষরোপণের কোনো বিকল্প নেই। আমরা যদি পরিবেশের স্বাভাবিক তাপমাত্রা এখন থেকে ১০ বছরের সাথে তুলনা করি তাহলে দেখতে পাবো কি ভয়াবহ সংকটময় অবস্থার মাঝে রয়েছি।’

বৃক্ষনিধনকে এই বর্ধনশীল তাপমাত্রার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এখন বৃক্ষরোপণের পিছনে ব্যক্তিগত এবং জাতীয়ভাবে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।’

র‍্যালি ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা শেষে কৃষি অনুষদ ভবনের উত্তর পাশে কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের গবেষণা মাঠের সামনে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ, শিক্ষক সমিতি ও কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ তিনটি বৃক্ষরোপণ করে।

নয়া শতাব্দী/এসআর/এমটি

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ