ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২.৭, আর কত দিন চলবে তাপপ্রবাহ?

প্রকাশনার সময়: ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৬

তীব্র দহনে পুড়ে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা। বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি, তবুও কালবৈশাখী নিয়ে স্বস্তির বার্তা দিতে পারছে না চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস। বরং তাপমাত্রার পারদ যে আরও উঁচুতে চড়তে পারে, তেমনই পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস।

তাপপ্রবাহের মধ্যেই চুয়াডাঙ্গায় শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানা গেছে।

এরআগে ,চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ২০১৪ সালের ২১ মে। সেই বছর এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এপ্রিল মাসজুড়ে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণে হিট এলার্ট জারি করা হয়েছে। এ অবস্থায় সকলকে সাবধানে থাকার অনুরোধ জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে দীর্ঘ সময় তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় এ অঞ্চলের শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকদের জীবন-জীবিকাতে দেখা দিয়েছে সীমাহীন দুর্ভোগ। সেই সাথে বেড়েছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালে শয্যার অভাবে এসব রোগীদের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে মেঝেতে এবং হাসপাতালের বারান্দায়।

রোদের প্রখরে ফল-ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। আম, লিছু, ধানসহ বিভিন্ন ফসল পুড়ে যাচ্ছে। এতে লোকসানের শঙ্কা দেখা দিতে পারে।

এ জেলায় সূর্যের প্রখরতা এতোটাই বেশি যার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শক্রমে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তথ্য অফিসের সহায়তায় জেলার সব স্থানে মাইকিং করে জনসাধারণকে সতর্ক করা হচ্ছে। তারা যেন অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হয়।

এবারের মতো গরম আমি আগে দেখিনি। রোদে গেলে মনে হচ্ছে গায়ের চামড়া পুড়ে যাচ্ছে, নয়া শতাব্দীকে বলছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সুমদিয়া গ্রামের রিকশাচালক শাহজাহান আলী।

শহরতলী দৌলাতদিয়ার গ্রামের ৫৩ বছর বয়সী রমজান মিয়া ২৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভ্যান চালাচ্ছেন। গরমের কারণে তার দৈনন্দিন আয় প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। তিনি বলেন, আয় করবো কী করে? ভ্যানে মাল নিয়ে টানতে গেলেই গলা-বুক শুকায়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। পানি খাওয়ার পরও মনে হচ্ছে তেষ্টা মিটছে না।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানিয়েছেন, এপ্রিল মাস দেশের উষ্ণ মাস। এ মাসের গরম বেশি। দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু কিছু বৃষ্টি হলেও এ জেলায় বৃষ্টি নেই। এ কারণে গরম বাড়ছে। এছাড়াও গরম বেশি অনুভূত হওয়ার কারণ, বাতাসে আর্দ্রতা বেশি। শুক্রবার বেলা ৩ টায় ১১ শতাংশ বাতাসের আর্দ্রতার সাথে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৭ ডিগ্রি। তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তাই সকলকে সাবধানে থাকার অনুরোধ জানান তিনি।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ