ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ইফতার পার্টিতে হট্টগোল, খালি হাতে ফিরল নেতাকর্মীরা

প্রকাশনার সময়: ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩৩

বরিশালে তারেক রহমানের ইফতার পার্টিতে হট্টগোল ও নেতাদের হঠকারীতায় কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী-সমর্থককে ইফতার না পেয়েই ফিরে যেতে হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির বার্ষিক ইফতার মাহফিলে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও একাধিক সূত্র জানায়, পাঁচটি উপজেলা নিয়ে গঠিত বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক ইউনিট। নগরীতে অনেকগুলো পয়েন্ট থাকলেও আবাসিক এলাকা ভাটিখানা টাউন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে দক্ষিণ জেলা বিএনপি। সেখানে এই সাংগঠনিক টিমের প্রায় দুই হাজার সদস্য ইফতার মাহফিলে যোগ দেন।

এই ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি জুম ভিডিও টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মুজিবুর রহমান সরোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমানসহ দক্ষিণ উত্তর ও মহানগরের নেতারা।

নেতাদের বক্তব্য শেষে ইফতারের কিছুক্ষণ আগে প্যাকেট বিতরণ শুরু হলেই বেধে যায় হট্টগোল। যাতে বৃষ্টিতে কাকভেজা প্রায় কয়েক শতাধিক নেতাকর্মীকে ইফতার প্যাকেট না নিয়েই চলে যেতে দেখা গেছে। পাশাপাশি তাদের আশেপাশের দোকান থেকে পানির বোতল কিনে ইফতার করতে দেখা গেছে।

জানা গেছে, জেলা বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের হঠকারী সিদ্ধান্তে এমন অবস্থায় সৃষ্টি হয়। এমনকি নিজেদের নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ ঝেড়েছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবুল কালাম শাহীন।

তিনি তার ফেসবুক পেইজে লেখেন, ব্যক্তি নেতৃত্বের নির্বুদ্ধিতা পুরো দলের সুনাম ক্ষুন্ন করে। অপর একটি পোস্টে তিনি লেখেন, আজকের জেলা বিএনপির ইফতারে যারা কষ্ট পেয়েছেন, তাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।

তার এই দুটি পোস্টে কয়েকশ নেতাকর্মীর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। প্রত্যেকেই ক্ষোভ ঝেড়েছেন কমেন্টে।

একাধিক নেতা জানান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান একক সিদ্ধান্তে তার নিজের বাকেরগঞ্জের কিছু লোকজনকে দিয়ে খাবার বিতরনের কার্যক্রম শুরু করেন। এতেই বাদে হট্টগোল। কিন্তু তারেক রহমান ভিডিও কনফারেন্সে থাকা ও পুলিশি ঝামেলা এড়াতে কোনো নেতাকর্মী ঝামেলা করেনি।

এ প্রসঙ্গে জানতে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খানের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও, তিনি তা রিসিভ করেননি। অন্যদিকে সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহিনের নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন জানান, দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতে পারে। এটি একটি বড় দল, একটু সমস্যা তো হতেই পারে।

নয়াশতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ