ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

তিন বছরে ২৮ ট্রেন দুর্ঘটনা

প্রকাশনার সময়: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫:১২

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে গত তিন বছরে ২৮টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ২৫ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। অরক্ষিত রেলগেট, দেখভালের লোকবল সংকট, রেললাইনে পাথর-স্বল্পতা, কাঠের স্লিপার পচে নষ্ট হওয়া, কংক্রিটের স্লিপার ভাঙা, লোহার স্লিপারের ক্লিপ না থাকা, লাইনের নিচের মাটি সরে যাওয়া এসব দুর্ঘটনার প্রধান কারণ বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে।

তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের রেললাইন দেখভালে অবহেলা ও অব্যবস্থাপনাসহ প্রশিক্ষণবিহীন অদক্ষ চালক ও রেললাইন নিয়মিত মেরামতের অভাব তো রয়েছেই।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢাকার টাঙ্গাইল, গাজীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ীসহ খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর প্রশাসনিক বিভাগের পুরো এলাকা নিয়ে রেলের পশ্চিমাঞ্চল। এই অঞ্চলের বিভিন্ন লাইন সম্পর্কে রেলওয়ের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা নানা সংকটকে দায়ী করেছেন।

সূত্র মতে, দেশের সর্ববৃহৎ ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৪০টি ট্রেন চলাচল করে। এই জংশনের রেললাইনের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক।

জানা গেছে, পাকশী বিভাগে ১২শ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ ও রেলপথ এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রেনের স্পিড ১০ কিলোমিটারে নামিয়ে আনা হচ্ছে। এই বিভাগে ২৮টি ট্রেন দুর্ঘটনার মধ্যে ৯টিই অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং এলাকায় ঘটেছে। এছাড়া অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে কোনো বাধা না থাকায় ১১ বার ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। দুবার মুখোমুখি ট্রেন দুর্ঘটনা ও ইঞ্জিন বিকলের কারণে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে মোট ২২৭টি রেলক্রসিং আছে, এর মধ্যে অরক্ষিত ১৪৫টি।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহ সুফি নূর মোহাম্মদ বলেন, দুর্ঘটনা রোধে সার্বক্ষণিক রেললাইনে মোটর ট্রলির মাধ্যমে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অফিসাররা ট্রলিযোগে সার্বক্ষণিক দেখভাল ও তদারকি করছেন।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম অসিম কুমার বলেন, রেল দুর্ঘটনায় কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর দায় বা গাফিলতি থাকলে তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমাদের লোকবল সংকট আছে। এ কারণে কিছু রেলক্রসিং অরক্ষিত রয়ে গেছে। গেটম্যান নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ