লিটন দাসের ব্যাটে নেই কোনো রান। এ নিয়ে চলছে রাজ্যের সমালোচনা, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ। ইতিহাস জানাচ্ছে, ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ও পরেও খুব খারাপ সময় কেটেছিল তার। ওমানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম পর্ব আর আরব আমিরাতে মূলপর্ব মিলে ৭ ম্যাচে একদমই হাসেনি লিটনের ব্যাট।
স্বটল্যান্ড (৫), ওমান (৬) আর পাপুয়া নিউগিনির (২৯) সাথে ৩ ম্যাচে ৪০ করার পর শ্রীলঙ্কা (১৬), ইংল্যান্ড (৯), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৪৪) আর দক্ষিণ আফ্রিকার (২৪) বিপক্ষে মূলপর্বের ৪ খেলাতেও প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হন লিটন।
তারপর সাদা বলে নয়, লাল বলে নিজেকে ফিরে পান লিটন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চরম খারাপ খেলার পর ২০২১ সালের নভেম্বরে মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরি (১১৪ ও ৫৯) করে ফর্ম ফিরে পান উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার। পরের ৬-৭ মাসে (২০২২ সালের মে পর্যন্ত) আরও একজোড়া টেস্ট শতক ও ৩টি অর্ধশতক আসে তার ব্যাট থেকে।
লিটন ঘুরে দাঁড়াতে জানেন। কে জানে, এবার চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টেই হয়তো সেভাবেই ঘুরে দাঁড়াবেন! হাথুরুসিংহের বদলে ভারপ্রাপ্ত হেড কোচের দায়িত্বে থাকা নিক পোথাস কিন্তু তাই মনে করেন।
পোথাস আস্থা রাখছেন লিটনের ওপর। তার বিশ্বাস, লিটন সে আস্থার প্রতিদান দেবেন। চট্টগ্রামেই হয়তো ফর্মে ফিরবেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার।
তবে লিটনের স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে পাওয়া আর রান করার জন্য একটা অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন বলে মনে করেন পোথাস। তার অনুভব, লিটনকে বাইরের অনেক চাপ সামলাতে হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিটনকে নিয়ে নানা ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ চলছে। তাতে করে লিটনের মানসিক চাপটা আরও বেড়েছে বলে মনে করেন পোথাস।
টাইগার কোচ বলেন, ‘লিটনের সঙ্গে কথা হয়েছে। সে ভালো অবস্থায় আছে। সমস্যা হলো লিটনের ওপর চাপটা আসে বাইরে থেকে। আমার মনে হয় লিটনকে যদি লিটনের মতো থাকতে দেই, সে তার সেরাটা দেখাতে পারবে। সোশ্যাল মিডিয়া বা মিডিয়ায় সে কী বলছে, এসব নিয়ে আমরা যদি পড়ে থাকি, তার মানে আমরা ভুলে গেছি ক্রিকেটার হিসেবে সে কতটা সামর্থ্যবান। সেও একজন মানুষ। তার উপর আস্থা রাখতে হবে। আমি প্রমিজ করছি, সে আপনাকে আস্থার প্রতিদান দেবে।’
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ