ঢাকা, শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারতীয় মসলায় ক্যানসার ও কীটনাশকের উপাদান! নিষিদ্ধ করলো হংকং-সিঙ্গাপুর

প্রকাশনার সময়: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৮

ভারতীয় কোম্পানির মসলায় ক্যানসার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পদার্থ ও কীটনাশক পাওয়ার দাবি জানিয়েছে হংকং ও সিঙ্গাপুর। ভারতীয় এসব মসলাতে ক্যানসার সৃষ্টিকারী ইথিলিন অক্সাইডের উচ্চ-মাত্রার উপস্থিতি পাওয়ার কথা জানিয়েছে দেশদুটি।

সম্প্রতি, হংকং এর খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট সেন্টার ফর ফুড সেফটিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এক প্রতিবেদনে তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৫ এপ্রিল এক প্রতিবেদনে হংকং এবং সিঙ্গাপুর জানায় যে ভারতীয় কোম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্টের গুঁড়া মসলায় উচ্চ মাত্রার ইথিলিন অক্সাইডের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

ইথিলিন অক্সাইড একটি গন্ধহীন রাসায়নিক। এছাড়া অত্যধিক পরিমাণে থাকলে তা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সারের তথ্য অনুযায়ী এই ইথিলিন অক্সাইড গ্রুপ ১ ক্যানসার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পদার্থ।

ভারতীয় যে তিনটি মসলা পণ্যে ক্যানসারের উপাদান পাওয়া গেছে, তা হলো- মাদ্রাজ কারি পাউডার, সাম্ভার মসলা এবং কারি পাউডার। অন্যদিকে এভারেস্ট ব্র্যান্ডের ফিশ কারি মসলার সাথে কীটনাশক ও ইথিলিন অক্সাইডের উপদান পাওয়া গেছে।

ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসারের মাধ্যমে ইথিলিন অক্সাইডকে ‘গ্রুপ ১ কার্সিনোজেন’ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে।

ভারতে এই দুই কোম্পানির গুঁড়া মসলা ব্যাপক জনপ্রিয় এবং ইউরোপ, এশিয়া ও উত্তর আমেরিকাতেও রপ্তানি করা হয়। এই ঘটনার পর ভারতের মসলা রপ্তানি নিয়ন্ত্রক সংস্থা অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান দুইটিকে তাদের মসলার গুণগত মান যাচাইয়ের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে।

মঙ্গলবার ভারতের মসলার গুণগত মান পরীক্ষা ও তদারকি সংক্রান্ত সংস্থা স্পাইস বোর্ড অব ইন্ডিয়ার জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেছেন, হংকং এবং সিঙ্গাপুরে রপ্তানি করা পণ্যের মান কীভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং সব ধরনের বিধি-বিধান মেনে রপ্তারি করা হয়েছে কি না, তা জানাতে কোম্পানি দুটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এমডিএইসের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজিন্দর কুমার এই বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। আর স্পাইস বোর্ড অব ইন্ডিয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে করা প্রশ্নের কোনও জবাব দেয়নি এভারেস্ট স্পাইসেস।

মঙ্গলবার সকালের দিকে এক বিবৃতিতে এভারেস্ট স্পাইসেস বলেছে, বাজারজাত করা তাদের সব মসলাই ব্যবহারের জন্য নিরাপদ এবং এসব পণ্য ভারতীয় মসলা বোর্ডের পরীক্ষাগার থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র ও অনুমোদন পাওয়ার পরই রপ্তানি করা হয়েছিল।

বিবৃতিতে এভারেস্ট স্পাইসেসের পরিচালক রাজীব শাহ বলেছেন, সিঙ্গাপুর এভারেস্টের ৬০টি পণ্যের মধ্যে মাত্র একটি পণ্য পরীক্ষার জন্য বিক্রি স্থগিত করেছে।

হংকং ও সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভারতীয় ওই দুই কোম্পানির গুঁড়া মসলায় উচ্চ মাত্রার ইথিলিন অক্সাইড রয়েছে। যা মানুষের খাওয়ার জন্য অনুপযোগী। আর দীর্ঘসময় ধরে ইথিলিন অক্সাইডের ব্যবহারে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

নয়াশতাব্দী/ডিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ