ঢাকা, রোববার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জুস খাইয়ে ব্যবসায়ীর টাকা লুট, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশনার সময়: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০৯

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জুসের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে তা খাইয়ে এক ব্যবসায়ীর ব্যাগে থাকা নগদ ২৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা লুট কারার মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নোয়াখালীর চরজব্বর থানা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছে মিরসরাই থানা পুলিশ।

ওই ব্যক্তির নাম ইয়াকুব আলী মাসুদ (৬৫)। সে নোয়াখালীর চরজব্বর থানার চরজব্বর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মফিজ মিয়ার বাড়ির মৃত আবদুল হালিমের ছেলে। এসময় তার কাছ থেকে নগদ ৬ লাখ ২৩ হাজার টাকা, স্বর্ণের তাবিজ ও চোরাই কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ মার্চ বিকেল সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রামের গরিবুল্লাহ শাহ থেকে ছেড়ে আসা সেন্টমার্টিন ইয়াছিন এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি গাড়িতে বাসযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে ব্যবসায়ীকে কাজে রওয়ানা হন মো. আবুল কালাম। পথিমধ্যে মিরসরাই থানার মিঠাছড়া বাজার এলাকায় পৌঁছালে পাশের সিটে বসা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তাকে জুসের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ালে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তার সাথে ব্যাগে থাকা নগদ ২৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল সেট হাতিয়ে নেয় ওই ব্যক্তি। এরপর ভুক্তভোগী আবুল কালাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নামে মিরসরাই থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি হাতে পেয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ সহিদুল ইসলামের নির্দেশে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কাজ করেন মিরসরাই থানার উপ-পরিদর্শক (তদন্ত) দীপ্তেশ রায়। নোয়াখালী জেলার ডিবি পুলিশের সহায়তায় গত ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ভুক্তভোগী মো. আবুল কামাল চট্টগ্রাম রাঙ্গুনীয় উপজেলার থান্ডাচড়ি ইসলামপুর ইউনিয়নের আবুল কালাম আজাদ বাড়ির মৃত আবুল হাশেমের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম শহরের টেরিবাজারে কাপড়ের ব্যবসা করেন।

আবুল কালাম বলেন, সেদিন আমি চট্টগ্রাম নগরীর গরিবুল্লাহ শাহ এলাকার বাস স্টপেজ থেকে সেন্ট মার্টিন এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি এসি বাসযোগে ব্যবসায়িক কাজে ঢাকা যাচ্ছিলাম। শহর থেকে আমার পাশে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তিও বসেন। মিরসরাইয়ের মিঠাছড়া বাজার এলাকায় পৌঁছালে কিছু বুঝে উঠার আগে তিনি আমাকে একটি জুস পান করান। সেটা খেয়ে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। পরে আমার সাথে থাকা নগদ ২৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল সেট হাতিয়ে নেয় সে ব্যক্তি। এই ঘটনায় আমি মিরসরাই থানায় মামলা দায়ের করি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরসরাই থানার ওসি তদন্ত দীপ্তেশ রায় জানান, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা কাজ করতে থাকি। শনাক্ত পূর্বক গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নোয়াখালীর চরজব্বর থানা এলাকায় ডিবি পুলিশের সহায়তায় আমরা ইয়াকুব আলী মাসুদ নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। পরবর্তীতে আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার নিজ বাড়িতে রাতে অভিযান চালিয়ে চোরাইকৃত নগদ ৬ লাখ ২৩ হাজার টাকা, একটি সুজুকি ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল ও একটি সোনার তাবিজ হারসহ উদ্ধার পূর্বক জব্দ করেছি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ