ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

বোরো ধানের শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন  

প্রকাশনার সময়: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩৮

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে সোনালি-সবুজের আভায় বোরো ধান। মৃদু বাতাসের দোলায় কৃষকের ক্লান্তিকে মিলিয়ে দিতে খেতগুলো যেন সদা তৎপর। বোরোর খেতগুলো দেখলে “ধনধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা” কথাটির সার্থকতা খুঁজে পাওয়া যায়।

অনুকূল আবহাওয়া, কৃষকের নিবিড় পরিচর্যা, যথাসময়ে জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগের কারণে ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ। মাঠে মাঠে দোল খাওয়া নতুন ধানের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ১০ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ হেক্টর বেশি জমিতে। অর্থাৎ ১০ হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে। এ মৌসুমে প্রতি হেক্টরে পাঁচ থেকে ছয় টন ফলন পাওয়ার আশা করছেন সংশ্নিষ্টরা।

সরেজমিন বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সত্যি সত্যিই ধান গাছের বুক চিরে বেরিয়ে আসতে চাইছে কৃষকের স্বপ্ন, হাড়ভাঙ্গা কঠোর পরিশ্রমের ফলে রোপিত ধান গাছের বুক চিরে বেরিয়েছে কৃষকের স্বপ্ন। খুবই ভালো বের হচ্ছে ধানের শীষের বাইল।

তাড়াইল-সাচাইল সদর ইউনিয়নের কালনা গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান ও ফজলুর রহমান জানান, আমরা চারা লাগানোর পর থেকে নিয়মিত পরিচর্যা করছি। নিয়মিত দেখাশোনা না করলে আগাছা ও পোকায় ধরে ফেলে। আমরা পোকা-মাকড় দমনের জন্য আলোর ফাঁদ, আইপিএম ও ইঁদুর নিধনের জন্য ফাঁদসহ ব্যবহার করছি আধুনিক পদ্ধতি। ঝড়, রোগবালাই না হলে ভালো ফলন আশা করছি।

তারা আরও জানান, বোরো ধান গাছে কারেন্ট পোকা, খোল পোড়া, ব্লাস্ট রোগ, ধানের বাদামি গাছ ফড়িংসহ সকল প্রকার পোকামাকড় ও ব্যাকটেরিয়াজনিত সকল রোগ থেকে রক্ষা করার জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরামর্শ দিতে আমাদের কাছে আসছেন উপ-সহকারী কৃষি অফিসাররা। ফলে ধানের উৎপাদন ভালো হবে আশা করছি। বোরো চাষ উল্লেখযোগ্য বেশি হবার কারণ জানতে চাইলে কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সুমন কুমার সাহা জানান, সারের দাম স্থিতিশীল থাকা, সময়মত ও পরিমাণমত সার-বীজ-কীটনাশকের প্রাপ্যতা, কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের কর্মতৎপরতা, কৃষকদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পরামর্শ, আইপিএম পদ্ধতির ব্যবহার, ধানের ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় কৃষকেরা ধান চাষে আগ্রহী হয়েছেন। সামনের দিনগুলোতে কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এবার এ বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আমরা আশাবাদী।

নয়াশতাব্দী/এনএইচ/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ