ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৮ জিলকদ ১৪৪৫

উপজেলা নির্বাচনের তপশিল আজ

প্রকাশনার সময়: ২১ মার্চ ২০২৪, ০৯:১২

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তপশিল বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ঘোষণা করা হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশন সভায় তপশিল চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে। সভার পর দেড় শতাধিক উপজেলা নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা হতে পারে।

এদিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট দুটি সংশোধিত বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে গতকাল বুধবার। তপশিল ঘোষিত উপজেলাগুলোতে এ বিধিমালা কার্যকর হবে। সংশোধিত বিধিমালায় চেয়ারম্যান পদে জামানতের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করা হয়েছে।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত ৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা। চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ভোটারের সইসহ সমর্থনসূচক তালিকা জমা দেওয়ার বিধান বাদ দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সভায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পাশাপাশি ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন নিয়েও আলোচনা হবে। ওই উপনির্বাচনেরও তপশিল ঘোষণা করা হতে পারে। এ ছাড়া সভায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনার কথা রয়েছে।

ইসি আগেই জানিয়েছিল, এবার চার ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে। প্রথম ধাপের ভোট হবে ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮ মে ও চতুর্থ ধাপে ২৫ মে। ভোটের দিন জানানো হলেও পূর্ণাঙ্গ তপশিল ঘোষণা করা হয়নি।

গতকাল ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সভা রয়েছে। আজ প্রথম ধাপের পূর্ণাঙ্গ তপশিল ঘোষণা করা হতে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণবিধিতে কিছু সংশোধনী এসেছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের ২৫০ জনের সই নেওয়া কঠিন কাজ। এতে কে কাকে ভোট দেবে, তা আগেই প্রকাশ হয়ে যায়। এসব বিষয় চিন্তা করে বিধি সংশোধন করা হয়েছে।

এ ছাড়া নতুন বিধি অনুযায়ী, রঙিন পোস্টার ব্যবহার করতে পারবেন প্রার্থীরা। প্রতীক বরাদ্দের আগেই জনসংযোগ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালানো যাবে। কিছু উপজেলায় ইভিএমে এবং বাকি উপজেলায় ব্যালটে ভোট গ্রহণ হবে। কোন উপজেলায় কীভাবে ভোট গ্রহণ হবে, সে বিষয়ে কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হবে।

আগের বিধিমালায় নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের কম পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হতো। সংশোধিত বিধিমালায় ১৫ শতাংশ ভোট না পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। নতুন বিধিতে চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় অনধিক ২৫ লাখ টাকা এবং নারী সদস্য পদে অনধিক ১ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ও ফের ভোটের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে ইসির ক্ষমতা স্পষ্ট করা হয়েছে।

নয়া শতাব্দী/আরজে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ