ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

কেশবপুরে ৪০ হাজার বিঘা জমিতে বোরো চাষের সম্ভাবনা

প্রকাশনার সময়: ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭:৫৬

ভবদহ সংলগ্ন ২৭ বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনে যশোরের কেশবপুরে স্বেচ্ছাশ্রমে শ্রী নদীর ডায়ের খালের ৮ ব্যান্ড সুইসগেটের দু‘পাশের পলিসহ জলকপাট অপসারণ করা হয়েছে।

গত ২০ ডিসেম্বর শত শত ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক একাজে অংশ নেয়। জলকপাট অপসারণের ফলে যেভাবে বিলের পানি নিষ্কাশন হচ্ছে তাতে চলতি বোরো মওসুমে বিল অভ্যন্তরের ৪০ হাজার বিঘা জমিতে বোরো আবাদের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ফলে ঘেরপাড়ে সবজি উৎপাদনসহ মানুষের বাড়ি ঘর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে।

ভবদহ সংলগ্ন কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার ২৭ বিলের বর্ষার অতিরিক্ত পানি কেশবপুরের ডায়ের খাল দিয়ে শ্রী নদীতে নিষ্কাশন হয়। কিন্তু শ্রী নদী ও ডায়ের খালের সংযোগ স্থলের ৮ ব্যান্ড সুইসগেটের আগে ও পিছে ৬ কিলোমিটার পলি জমে বিলের তলদেশ থেকে প্রায় ৫ ফুট উঁচু হয়ে গেছে। যে কারণে বিলের পানি নিষ্কাশন হতে না পেরে দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বৃষ্টি আর জলাবদ্ধ পানি একাকার হয়ে ফসলের ক্ষেত, মানুষের বাড়ি ঘর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়ে। এখনও পানিবন্দী রয়েছে ময়নাপুর, সানতলা, কালিচরণপুর, বাগডাঙ্গা, মনোহরনগর, গৃধরনগর ও নারায়নপুর এলাকার শত শত মানুষ। জলাবদ্ধতার কারণে ইতোমধ্যে শত শত ঘের মালিকের ঘেরের বেড়িবাধে রোপণ করা ফলদ টমেটোসহ বিভিন্ন প্রজাতির সবজি গাছ মরে গেছে। ঘের মালিকরা নেট ও পাটা দিয়ে ঘের রক্ষায় দিনরাত শ্রম দিয়ে যাচ্ছে। প্রত্যেক কৃষকের ঘরে বীজ ধান মজুদ থাকলেও পানির কারণে এখনও বীজতলা তৈরি করতে পারেনি।

সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুনজুরুল ইসলাম বলেন, ডায়ের খালের দু‘পাশে ৬ কিলোমিটার পলিতে ভরাটের কারণে মনিরামপুর উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলসহ কেশবপুরের পাঁজিয়া ও সুফলাকাটি ইউনিয়নের ২৭ বিলে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। দীর্ঘদিন ধরে ফসল আবাদ হচ্ছে না। ২ মাস আগে থেকে এলাকার কৃষক ও ঘের মালিকদের উদ্যোগে ডায়ের খালের ৮ ব্যান্ড সুইসগেটের পলি অপসারণ কাজ শুরু হয়। লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে পলি অপসারণের পর সুইসগেটের ৮টি কপাটের মধ্যে ৪টি জলকপাট অপসারণ করা হয়েছে। শ্রী নদীতে ভাটার সময় জলকপাট খোলা ও জোয়ারের সময় বন্ধ করা হয়।

কেশবপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মুন্সী আছাদুজ্জামান বলেন, ভবদহ সংলগ্ন সকল নদী ও খাল পলিতে ভরাট হয়ে গেছে। যেকারণে বিলের বদ্ধ পানি নিষ্কাশন সম্ভব হচ্ছে না।

নয়া শতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ