ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

নদের পাড় কেটে মাটি বিক্রি

প্রকাশনার সময়: ২২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮:২৭

যশোরের চৌগাছায় ভৈরব নদের তীরের মাটি স্কেভেটর দিয়ে কেটে ইটভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছে প্রভাবশালী একটি মহল। আর এই মাটি কৃষকের ফসলি জমির উপর দিয়ে ট্রলিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

খবর পেয়ে বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফোন করলে সংশ্লিষ্টরা মাটি কাটা বন্ধ রাখেন। তবে সেখান থেকে মাটির কাটার যন্ত্র সরানো হয়নি।

বুধবার সকালে চৌগাছা-আড়পাড়া সড়কের রোস্তমপুর মাঠে গিয়ে দেখা যায় স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে ৭/৮টি ট্রলিতে করে ফসলি জমির উপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কৃষকরা মাটি কাটতে নিষেধ করায় গ্রামের জনৈক মোমিনুর রহমান তাদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন।

জানতে চাইলে মোমিনুর বলেন, পাতিবিলা গ্রামের সিদ্দিক এই মাটি কাটছেন। নদের মাটি কাটার অনুমতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিদ্দিক ভালো বলতে পারবেন।

অন্যদিকে স্কেভেটর চালক বলেন, মোমিনুর তাকে ভাড়া করে নিয়ে এসেছেন। এসময় নাম প্রকাশ না করে কৃষকরা বলেন, মাটি কাটতে নিষেধ করা হলেও কর্ণপাত করছে না সংশ্লিষ্টরা। তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মাটি কাটছে বলে প্রচার করছে।

কৃষকরা জানান, জলাধার সৃষ্টির লক্ষে বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দুই বছর আগে ভৈরব নদ খনন করে সরকার। সেসময় খননকৃত মাটি নদের দুই তীরে দেয়া হয়। যেন নদের পানি উপচে মাঠের ফসলের ক্ষতি না হয়।

এদিকে, স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা মুঠোফোনে সিদ্দিকুর রহমানকে নদের মাটি কাটতে নিষেধ করেন। এরপর থেকে মাটি কাটা বন্ধ রয়েছে।

তবে সেখান থেকে সরানো হয়নি স্কেভেটর। স্থানীয়দের আশংকা রাতের আঁধারে আবারও মাটি কাটবে ওই চক্রটি।

সূত্র মতে, প্রথমে পাতিবিলা ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রাম থেকে এভাবে মাটি কেটে বিক্রি করে চক্রটি। সেখানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাফী বিন কবিরের নেতৃত্বে কয়েকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। তবুও থামেনি তাদের অপকর্ম। নিয়ামতপুরে কাটা শেষ করে তারা শহরের ইছাপুর মাঠের মুক্তদাহ মোড় থেকে মাটি কাটা শুরু করে। এখন রোস্তমপুরে নদের পাড়ে মাটি কাটছে। গত ৪ ডিসেম্বর স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে চৌগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়ার নেতৃত্ব পুলিশ মুক্তদহ মোড় থেকে দুটি মাটি বোঝাই ড্রাম ট্রাক চৌগাছা থানা হেফাজতে নেয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরুফা সুলতানা বলেন, স্থানীয়দের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে তাদেরকে এভাবে মাটি নেয়া থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপরও যদি মাটি কেটে নেয় তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ