টেকনাফ পৌরসভা নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের পরদিন হঠাৎ করে সহিংস ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী জোবাইর বাহিনীর বেপরোয়া কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের মাঝে ভীতির সঞ্চার হয়েছে।
তারই সূত্র ধরে সোমবার সন্ধ্যায় পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে পরাজিত প্রার্থী জোবাইর এর নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারীরা বিজয়ী প্রার্থী নুরুল বশর নুরশাদ ও তার সমর্থকদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে হামলা চালায়। এতে নুরুল বশর নুরশাদের সমর্থক মো. শহিদ গুরুতর আহত হয়।
পৌরসভার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদ্য বিজয়ী কাউন্সিলর নুরুল বশর নুরশাদ তার নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ভোটারদের খোঁজ খবর নিতে যান। এসময় পরাজিত প্রার্থী জোবাইর এর নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারীরা কাউন্সিলর নুরুল বশর নুরশাদকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান তিনি। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরে খবর পেয়ে টেকনাফ থানার পুলিশের একটি টীম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে টেকনাফ থানার পুলিশ গোলাগুলির ঘটনা অসত্য বলে দাবি করেন।
এ বিষয়ে টেকনাফ পৌরসভার পুনঃ নির্বাচিত কাউন্সিলর নুরুল বশর নুরশাদ বলেন, সুষ্ঠু ভোটে জনগণের রায়ে আমি দ্বিতীয়বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর সোমবার আমার নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে বের হই। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে আমরা ভোটারদের সঙ্গে সাক্ষাতের এক পর্যায়ে জালিয়া পাড়া পৌঁছালে আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জোবায়ের হোসেনের নেতৃত্বে ইমান ও জাফরসহ অচেনা বেশ কয়েকজন বহিরাগত সন্ত্রাসী অতর্কিত আমাদের উপর হামলা করে। এক পর্যায়ে তারা আমাকে লক্ষ্য করে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ করে। এসময় অল্পের জন্য আমি প্রাণে রক্ষা পাই। এসময় আমার সঙ্গে থাকা লোকজন কৌশলে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এছাড়া তারা আমার এজেন্ট ও সমর্থকদের বাড়িতে গিয়ে হামলাসহ বিভিন্ন হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিয়ে অভিযুক্ত টেকনাফ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী জোবায়ের হোসেনকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ মো. হাফিজুর রহমান জানান, ‘গোলাগুলির কোন ঘটনার ব্যাপারে সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জালিয়া পাড়া এলাকায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থী মুখোমুখি অবস্থানের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের টীম পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেন।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ