কক্সবাজারে স্বামী-সন্তান নিয়ে বেড়াতে আসা নারীকে জিম্মি করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাদের শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ও খোঁজখবর নিয়ে পর্যটক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন শহরের বাহারছড়া এলাকার আশিক। স্থানীয়রা তাকে সন্ত্রাসী হিসেবেই চেনেন।
এ ঘটনায় আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। গতকাল বুধবার রাতে ওই নারীকে একটি রিসোর্ট থেকে উদ্ধার করে র্যাব। এ সময় রিসোর্টের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে (২৯) আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে র্যাব। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে সপরিবারে বেড়াতে গিয়ে ওই নারী গতকাল সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ করেছেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, ওই নারীকে আজ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা হবে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শাহীন মো. আবদুর রহমান চৌধুরী বলেন, ওই নারীকে ওসিসিতে রাখা হয়েছে। হাসপাতালে তাকে দুই থেকে তিন দিন রাখা হতে পারে।
ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী বলেন, গতকাল সকালে ঢাকা থেকে স্ত্রী ও আট মাসের সন্তানকে নিয়ে তিনি কক্সবাজার বেড়াতে যান। বিকেলে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ঘুরতে যান। বালুচর দিয়ে হেঁটে পানির দিকে নামার সময় এক যুবকের সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
ওই ঘটনার জেরে সন্ধ্যায় তার স্ত্রীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানে নিয়ে তিনজন তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। তারপর একটি রিসোর্টে নিয়ে তাকে আটকে রাখা হয়। পরে দুর্বৃত্তরা কক্ষের দরজা বাইরে থেকে লক করে চলে যায়। এসব ঘটনা যেন কাউকে না জানানো হয়, সে নিয়ে ভয়ভীতিও দেখানো হয়।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, এক ব্যক্তির সহায়তায় তিনি দরজার লক খোলেন। তখন তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দেন। সেখান থেকে বলা হয় থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার জন্য। তারপর এক ব্যক্তির সহযোগিতা তিনি কল দেন র্যাব-১৫-তে।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ