ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

‘কেউ যদি মনে করেন ‘সাতখুন মাফ’ তারা ভুল করছেন’

প্রকাশনার সময়: ২৯ ডিসেম্বর ২০২১, ২১:৪৮

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, ‘মনে রাখতে হবে, দলের শক্তি তৃণমূল নেতাকর্মী। এদের মধ্য বিভক্তি তৈরি করা গেলে আওয়ামী লীগকে দুর্বল করা যায়। কিন্তু ঐক্যবদ্ধ থাকলে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করর সম্ভব না।’

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল চারটায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগকে ঢেলে সাজানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী ২০ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের কর্মী সভা। উক্ত সভায় নেতাকর্মীদের বক্তব্যের পর দলকে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি স্থানীয় সাংসদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ‘এ বিভক্তিতে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়। সাংসদরা কেন বিভক্তিতে জড়াবেন? আপনারা দল ও জনগণের অভিভাবক। কাউকে দূরে ঠেলে বা কাউকে কাছে আনার প্রবণতা পরিত্যাগ করতে হবে। এ বিভক্তি ঐক্যবদ্ধ করা না গেলে আগামী নির্বাচনে বিরূপ প্রভাব পড়বে।’ তাই অভিভাবকের মতো দায়িত্ব পালন করতে সাংসদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মীসভায় হানিফ বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছি এখানে দলের শৃঙ্খলা নেই। আপনাদের (কক্সবাজারে নেতাদের) বক্তব্য শোনে আমি হতাশ হয়েছি। সবাই বিভক্তিতে জড়িয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে স্থানীয় নির্বাচনে দলের নেতাকর্মীদের বিভক্তি বেড়েছে।’

দল ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ৭১’ সালের পরাজয়ের আগুনে জ্বলছে পাকিস্তান। এখনও তারা সে পরাজয় ভুলতে না পেরে বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশ যখন উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে তখন উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটাতেই নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে পাকিস্তানিরা।’

স্থানীয় নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীরা দলের সব ধরনের পদবী থেকে বঞ্চিত হবেন জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, “সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে যারা দলের সিদ্ধান্ত না মেনে বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করেছে, তাদের যারা সহযোগী করেছে, তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর যদি কেউ মনে করেন ‘সাতখুন মাফ’ তারা ভুল করছেন।”

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজল, পেকুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, সহ-সভাপতি সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, মাতামুহুরি সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিন বাবুল, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার সদর রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাংসদ জাফর আলম, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ কানিজ ফাতেমা, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি রাজা শাহ আলম চৌধুরী, রেজাউল করিম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তক আহম্মদ চৌধুরী প্রমুখ।

নয়া শতাব্দী/এস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ