জামালপুর পৌর কবরস্থানে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ওয়াহিদুল করিম খান তন্ময়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে জুম্মার নামাজের পর জামালপুর পৌর কবরস্থানে এই ঘটনা ঘটে।

আহত তন্ময় জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

ছাত্রলীগ নেতা তন্ময় জানান, শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজ শেষে জামালপুর পৌর কবরস্থানে বাবার কবর জিয়ারত করতে যান তিনি। জিয়ারত শেষে ফেরার সময় পৌর কবরস্থানের গেইটে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জামালপুর পৌরসভার মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানুর ঘনিষ্ঠ সহকারী আল আমিন, জনি ও রুবেলসহ ১০ থেকে ১৫ জন তার ওপর অতর্কিত হামলা করে। হামলার এক পর্যায়ে তিনি কবরস্থানের ভেতরে প্রবেশ করলে স্থানীয় লোকজন ও জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাঈম রহমান তাকে উদ্ধার করে। পরে তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

আহত তন্ময় বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে শহরের মার্কেট এরিয়াতে মেয়র ছানুর বড় ভাই আনোয়ারের গাড়ির সাথে আমার গাড়ির ধাক্কা লাগে। এরপর গাড়ির চালকের সাথে আমার বাকবিতণ্ডা হয়। বাকবিতণ্ডার জেরে মেয়র ছানুর নির্দেশে ও আনোয়ার হোসেনের উপস্থিতিতে আমার ওপর হামলা হয়। হামলায় আমি মাথায় আঘাত পাই। এছাড়াও শরীরের নানা জায়গায় আঘাত পেয়েছি।

তন্ময়ের বড় ভাই রানা বলেন, আমার ছোট ভাইয়ের ওপর হামলার ঘটনায় আমরা ইফতারের পরে মামলা করবো। আমি এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানায়।

ঘটনার পরপরই জামালপুর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন আহত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তন্ময়ের সমর্থক ও স্বজনেরা। এ সময় তারা মেয়র ছানুর বিপক্ষে শ্লোগান দেন। দোষীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তারা।

মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানুর বড় ভাই আনোয়ার হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, শুক্রবার আমি বাড়ি থেকেই বের হই নি। তন্ময়কে কে বা কারা মেরেছে আমি জানি না। আমার গাড়ির সাথে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি ওই দিন রাতেই আমি তন্ময়ের সাথে ফোনে কথা বলে শেষ করেছি। তন্ময়কে যদি মারতেই হয়, তাহলে আমি অন্য লোকজনকে দিয়ে কেনো মারাবো। আমি নিজেই তন্ময়কে শাসন করতে পারি।

এ বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবির বলেন, আমি ঘটনা সম্পর্কে জেনেছি। এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

নয়াশতাব্দী/টিএ