ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

তরমুজ ছুঁলেই পুড়ে যাচ্ছে হাত

প্রকাশনার সময়: ১৯ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৮

চলমান পবিত্র মাহে রমজানে চৈত্রের দাবদাহ না থাকলেও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাপমাত্রা। রাতে একটু শীতের পরশ লাগলেও সকাল গড়িয়ে দুপুর নামতেই শুরু হয় গরম। আর এই গরমে ইফতারে রোজাদাররা বেছে নিচ্ছেন রসালো ফল তরমুজ।

রোজায় এই ফলের জনপ্রিয়তা বাড়ায় সুযোগ লাগাচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। তারা তরমুজের অতিরিক্ত দাম হাঁকিয়ে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় তিনগুণ পর্যন্ত বাড়তি দামে বিক্রি করছে। ফলে উত্তপ্ত এই দাম হাঁকানো এসব তরমুজে ছোঁয়া লাগালেই যেন পুড়ে যাচ্ছে মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের হাত।

খুচরা বাজারে এই ফলের দাম এখন প্রতিকেজি ৮০ টাকা। যা অন্যান্য বছরে এ সময়ে ৫০-৫৫ টাকার মধ্যে পাওয়া যেত। আর ভরা মৌসুমে দাম ৪০ টাকার মধ্যে থাকে। অর্থাৎ, এখন রোজার কারণে তরমুজের দাম অস্বাভাবিক।

এখন তরমুজের মৌসুম না হলেও লাল রং ও মিষ্টির গ্যারান্টি দিয়ে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। প্রতি কেজি তরমুজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত দাম নিচ্ছেন। সে হিসেবে ৮ কেজি ১ টা তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা থেকে ৬৪০ টাকা।

সরেজমিনে- পৌর শহর, নতুনহাট, পাকশী, জয়নগর, সাহাপুর, আওতাপাড়া, রুপপুর, মুলাডুলি, দাশুড়িয়া, আড়মবাড়িয়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এসব বাজারে ছোট-বড় সব ধরনের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। যে তরমুজ ছোট, সেগুলোর দাম একটু কম। আবার যে তরমুজ আকারে বড় ও দেখতে সুন্দর, সেগুলোর দামও একটু বেশি। ক্রেতাদের আশ্বস্ত করতে ব্যবসায়ীরা কেটে দেওয়ার কথাও দিচ্ছেন। তরমুজ কেটে ভেতরের লাল অংশও দেখিয়ে দিচ্ছেন।

উপজেলার আওতাপাড়া বাজারের তরমুজ বিক্রেতা শফিউদ্দিন জানান, ছোট-বড় সব ধরনের তরমুজ এখানে রয়েছে। তরমুজের সিজন না হওয়ায় দাম একটু বেশি। আনতেও খরচ বেশি পড়ছে। সবমিলিয়ে দাম বেশি।

এখানে তরমুজ কিনতে আসা ক্রেতা আব্দুর রহমান বলেন, ‘খুচরা বিক্রেতার থেকে বাড়ির ছেলে-মেয়েদের জন্য ৭৫ টাকা কেজি দরে তিন কেজি ওজনের তরমুজ ২২৫ টাকার ক্রয় করি।’ গত বছর যে তরমুজ ২০০ টাকায় পাওয়া গেছে এবার সেই তরমুজের দাম ৪০০ টাকা, ৫০০ টাকা; এমনকি ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।

শহর এলাকার বাজারে দেখা যায়, আপেল, কমলা ও মাল্টাসহ অন্যান্য ফলের পাশাপাশি বাজারে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। কেউ বিক্রি করছেন ছোট তরমুজ, আবার কেউ বিক্রি করছেন বড় তরমুজ। তরমুজের মৌসুম না হওয়ায় অনেক সময় কাটার পর তরমুজ সাদা দেখা যাচ্ছে।

তরমুজের দাম গতবারের তুলনায় এবার বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে একজন বিক্রেতা বলেন, ‘তরমুজের মৌসুম এখনও আসেনি, মাত্র পাকতে শুরু করেছে। আরও ২০-২৫ দিন পরে তরমুজের মৌসুম এলে দাম কমে যাবে।’

আবেদ আলী নামে একজন বিক্রেতা জানান, ‘এবছর এখনও মৌসুম শুরু হয়নি। সরবরাহ কম, চাহিদা বেশি। এই জন্য দামও বেশি। কিছুদিন পর একযোগে তরমুজ আসতে শুরু হলে দাম এমনেই কমে যাবে।’

নয়াশতাব্দী/ডিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ