ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৭ জিলকদ ১৪৪৫

মালিককে হামলা করে জমি দখলের চেষ্টা, আহত ৪

প্রকাশনার সময়: ০৯ মার্চ ২০২৪, ২১:৪৫

সাভারের আশুলিয়ায় জমি দখল করতে গিয়ে জমির মালিক ও তার সহযোগীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্তরা।

শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।

এরআগে, গত শুক্রবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পাশে বাইপাইল এলাকায় বাইপাইল প্লাজার সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন আহতরা।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী হলেন, আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে ইয়াসিন আরাফাত (৩৪)। এ ঘটনায় বাকি আহতরা হলেন, কবির খোকন তালুকদার, কবির হোসেন ও হাবিবুর রহমান।

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকার কফিল উদ্দিনের ছেলে ইকবাল হোসেন (৪৫), ইকবাল হোসেনের ছেলে সাদিক (১৯), বসুন্ধরা এলাকার জসিম উদ্দিন (৩৩) ও পলাশবাড়ি এলাকার আলমগীর হোসেন (৪৫) ও অজ্ঞাতনামা ২৫ থেকে ৩০ জন।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাইপাইলের পলাশবাড়ি মৌজার বিআরএস ৯০১ দাগে ৪০ শতাংশ জমি আম-মোক্তার নিয়োগ পেয়ে দখলে ছিলেন ইয়াসিন আরাফাত। পরে সেখানে বাইপাইল প্লাজা নামে একটি মার্কেট নির্মাণ করেন। এ জমি নিয়েই অবৈধ দখলকারী চক্রের রোষানলে পড়েন ইয়াসিন আরাফাত।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পলাশবাড়ি এলাকায় শাহরিয়ার গার্মেন্টসের বিপরীত পাশে ইয়াসিন আরাফাতের মালিকানাধীন বাইপাইল প্লাজা অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করে আসছিল অভিযুক্তরা। গত ০৮ মার্চ জমি দখলের চেষ্টা করে মার্কেটের ব্যবসায়ীদের বের করে দিয়ে তাদের দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় অভিযুক্তরা। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে ইয়াসিন আরাফাতের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা করে তারা। পরে রামদার আঘাতে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী। সেসময় তার পকেট থেকে ভাড়ার ২ লাখ টাকা ও গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও মোবাইল লুট করে নেয় হামলাকারীরা। আশেপাশের লোকজনের চিৎকারে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে ইয়াসিন আরাফাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ইয়াসিন আরাফাত বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের সাথে বিবাদে জড়ানোর চেষ্টা করে আসছিল অভিযুক্তরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই এসে মার্কেটের দোকান ভাঙচুর শুরু করে। তাদের কাছে রামদা, লাঠি, লোহার রড ও জিআই পাইপ ছিল। এরমধ্যে ইকবাল আমার মাথায় রামদা দিয়ে আঘাত করলে আমি পড়ে যাই। পরে তারা দৌড় দেয়। আমাকে এখানে আসলে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে তারা। পরে আমি চিকিৎসা নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমার মাথায় ১০টা সেলাই লেগেছে। বাকিরাও অল্প আহত হয়েছেন। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আসামিরা এখনও পলাতক, তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ