ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বাড়ছে মাদকের ব্যবহার

প্রকাশনার সময়: ২৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০৫:৪৪
সংগৃহীত ছবি

গত ১৭ মাসের কর্মকাণ্ডের ওপর ভিত্তি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ঢাকা মেট্রো সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দেশে দিন দিন মাদকের ব্যবহার বাড়ছে। তবে সেই অনুযায়ী মাদক নিয়ন্ত্রণে বাড়েনি সংস্থাটির অভিযান। মাদক উদ্ধার, গ্রেফতারের সংখ্যা না বাড়লেও প্রতিবেদনে আইস, এলএসডি, ক্রিস্টাল মেথ, ডিওবির মতো নতুন মাদক শনাক্তের দাবি করেছে সংস্থাটি।

জানা গেছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— গত দেড় বছরে তারা ২ হাজার ২৭৮ মামলায় গ্রেফতার করেছেন ২ হাজার ৪৬৩ জনকে। এ সময় ২ লাখ ১৮ হাজার ৫১৭ পিস ইয়াবা, ৪১৯ কেজি গাঁজা, ১ হাজার ৯৪২ বোতল ফেনসিডিল, ৪১২ বোতল মদ, ১ হাজার ৩৩৬ ক্যান বিয়ার, ২ হাজারের বেশি পেন্টাডল, ১ হাজার ৬২৭টি বিভিন্ন ধরনের ইনজেকশন, ৩৭৯ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ, ৯১৭ গ্রাম আইস, ১৫ স্ট্রিপ এলএসডি, ৯০ স্ট্রিপ ডিওবি, গুলিসহ দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১২ কেজি এমফিটামাইন পাউডারসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।

সংস্থাটির দাবি, বিভিন্ন সময়ে যখনই দেশের অভ্যন্তরে নতুন কোনো মাদক ঢুকেছে তারাই সর্বপ্রথম সেসব মাদকের চালান আটক করেছে। ইয়াবা, সিসা, আইস, এলএসডি, ক্রিস্টাল মেথ এবং ডিওবির মতো মাদক এই সংস্থাটিই শনাক্ত ও আটক করে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) উপপরিচালক রাশেদুজ্জামানের দাবি, বাংলাদেশে ইয়াবা (২০০২ সাল), সিসা (২০০৮ সাল), আইস (২০১৯ সাল), এলএসডি (২০১৯ সাল) সহ বিভিন্ন মাদকের প্রথম চালান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর জব্দ করে। তারই ধারাবাহিকতায় খুলনা থেকে ৪-ব্রোমো-২, ৫-ডাইমিথোক্সি এমফিটামাইন যা সাধারণ ডাইমিথোক্সি ব্রোমো এমফিটামাইন, ব্রোল এমফিটামাইল, ব্রোমো-ডিএমএ অথবা ডিওবি নামক নতুন একটি মাদক উদ্ধার করে। এটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) এর ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত মাদক।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা মেট্রো (উত্তর) কার্যালয়ের একটি অভিযানিক দল ২৪ নভেম্বর মাদক দ্রব্য আইস ও এলএসডি খুঁজতে খুলনায় গিয়ে নতুন মাদক ডিওবি উদ্ধার করে। বাংলাদেশের প্রথমবারের মতো ডিওবি উদ্ধারের ঘটনা ওটাই প্রথম। ওই সময় ডিওবি মাদক আমদানি ও সারাদেশে বিক্রির পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত থাকায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ডার্কওয়েব ব্যবহার করে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন পেমেন্ট করে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পোল্যান্ড থেকে নতুন ওই মাদক সংগ্রহ করা হয় বলে জানায় গ্রেফতারকৃতরা। তাদের কাছ থেকে ৯০টি ডিওবি Blotter/S trip নামক মাদকও উদ্ধার করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সূত্র জানায়, গত ২১ নভেম্বর সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ঢাকা এলিফ্যান্ট রোড শাখা থেকে ৫টি এলএসডির Blotter/S trip জব্দ করা হয়। সেখান থেকে জানা যায়, এই চক্রের মূল হোতা খুলনায় অবস্থান করছে। সেই সূত্র ধরে সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে ২২ নভেম্বর ঢাকা থেকে একটি বিশেষ টিম খুলনা থেকে প্রথমে আসামি আসিফ আহম্মেদ শুভকে গ্রেফতার করে। আসামি আসিফ আহম্মেদ শুভ জানান, ৫টি এলএসডির Blotter/S trip সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ম্যানেজার মামুনুর রশীদের সহায়তায় তথ্য গোপন করে ঢাকায় পাঠিয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে শুভ জানান, তার বন্ধু অর্ণব কুমার শর্মার কাছে বিপুল পরিমাণ ডিওবি নামক নতুন মাদক আছে। পরে অর্ণবের বাসায় অভিযান পরিচালনা করে ৯০টি ডিওবি উদ্ধার করা হয়। তাদের তথ্যমতে, সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ম্যানেজার মামুনুর রশীদকে গ্রেফতার করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নতুন নতুন মাদক শনাক্ত ও উদ্ধার করা হলেও বেশিরভাগ সময়ই মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এসব ঘটনায় মামলা করে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আসামিকে রিমান্ডে নেয়া না হয়। ফলে মাদকের উৎস এবং মদদদাতাদের বিষয়ে বিশেষ কিছু প্রকাশ হয় না।

মাদকদ্রব্য অধিদফতরের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত বছরের ৬ মাসের সঙ্গে তুলনা করলে আনুপাতিক হারে এ বছর মাদকের ব্যবহার বাড়লেও মামলা গ্রেফতার এবং উদ্ধার কমেছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (উত্তর) এর দেয়া তথ্যমতে, ২০২০ সালে ৬ মাসে মামলা হয়েছে ৮০৯টি, গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ৯৪৩ জনকে। উদ্ধার হয়েছে ইয়াবা ৮৪১৬৩ পিস, মদ ১৯৮ বোতল, গাঁজা ১১০ কেজি ও ফেনসিডিল ১১৭১ বোতল। অপরদিকে এ বছর ১১ মাসে মামলা হয়েছে ১৪৬৯টি গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ১৫২০ জনকে। উদ্ধার হয়েছে ইয়াবা ১৩৪৩৫৮ পিস, মদ ২১৪ বোতল, গাঁজা ৩০৯ কেজি ও ফেনসিডিল ৭৭১ বোতল। গড়ে প্রতি মাসে মামলা হয়েছে ১৩৪টি এবং আসামি গ্রেফতার হয়েছে ১৫৭জন। প্রতি মাসে ইয়াবা ১৪০২৭ মদ ৩৫ বোতল, গাঁজা ১৮ কেজি, ফেনসিডিল ১৯৫ বোতল। ১১ মাসে গড়ে ১৩৩টি মামলা এবং ১৩৮ জন গ্রেফতার।

প্রতি মাসে ইয়াবা ১২২১৪ মদ ১৭ বোতল, গাঁজা ২৮ কেজি, ফেনসিডিল ৭০ বোতল। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (উত্তর) জুলাই ২০২০-নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ১৭ মাসের মামলা, গ্রেফতার ও উদ্ধারের পরিসংখ্যান মাসওয়ারি উল্লেখ করা হলো— ২০২০ সালের জুলাই মাসে ৭৮টি মামলায় ৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ১৩৫৯৪ পিস ইয়াবা ২.৭০০ কেজি গাঁজা, ৮ বোতল বিদেশি মদ ২৭০ ক্যান বিয়ার মোটরসাইকেল ১টি, ফেনসিডিল ৪৫৮ বোতল, প্রাইভেটকার ১টি, মোবাইল সেট ১১টি জব্দ করা হয়। আগস্ট মাসে ১৫১টি মামলায় ১৫৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। ২৭৪৫ পিস ইয়াবা, ১৪.৫৩৫ কেজি গাঁজা, ফেনসিডিল ৬৫ বোতল, বুপ্রিজেসিক ইঞ্জেকশন ২০ অ্যাম্পুল, মোটরসাইকেল ১টি, ফেনসিডিল ৬৫ বোতল, প্রাইভেটকার ১টি, মোবাইল সেট ১টি, পেন্টাডল ট্যাবলেট ৬০ পিস, ট্যাপেন্টা ৪০ পিস উদ্ধার করে।

সেপ্টেম্বর মাসে মামলা হয়েছে ১৭৮টি, আসামি গ্রেফতার হয়েছে ১৮৫ জন। অ্যামফিটামিন পাউডার ১২ কেজি ৩২০ গ্রাম, ইয়াবা ৬৪০০ পিস, ফেনসিডিল ১৬০ বোতল, বিলাতি মদ ২০৩ বোতল, বিয়ার ৪২৬ ক্যান, বিয়ার ৩৮৪ বোতল, সিসা ২ কেজি, হুক্কা ৩টি, গাঁজা ১৭ কেজি ৬০ গ্রাম, হেরোইন ১০ গ্রাম, বুপ্রিজেসিক ১৮ অ্যাম্পুল, মোবাইল সেট ২টি, মোটরবাইক ১টি জব্দ করা হয়। অক্টোবর মাসে মামলা হয়েছে ১৫০টি আসামি গ্রেফতার করেছে ১৫৪ জন। ইয়াবা ৫৩৩৫২ পিস, গাঁজা ১৯ কেজি ১১৭ গ্রাম, ইনঞ্জেকশন ১৫ অ্যাম্পুল, বিয়ার ১০ ক্যান, হেরোইন ৫৩.৫ গ্রাম, ১টি রিভলভার, ২৯ রাউন্ডগুলি, নগদ ৬ লাখ টাকা, মোবাইল সেট ৫টি। নভেম্বর মাসে মামলা ৮৭টি আসামি গ্রেফতার ৯১ জন। ইয়াবা ৩২৩০ পিস, গাঁজা ৭.৭৪৫ কেজি, হেরোইন ১৪ গ্রাম, ফেনসিডিল ২২ বোতল, মোবাইল সেট ১টি, কুপিজেসিক ইন ৩০ অ্যাম্পুল করে।

ডিসেম্বর মাসে মামলা হয়েছে ১৬৫টি ১৭৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। ইয়াবা ৪৮৪২ পিস, ফেনসিডিল ৪৬৬ বোতল, বিলাতি মদ ৩ লিটার, বিয়ার ৪৮ ক্যান, গাঁজা ১৯.৭০৫ কেজি, হেরোইন ৫ গ্রাম, কুপিজেসিক ইনজেকশন ৩৩ অ্যাম্পুল, পিস্তল ১টি ও ২টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।

২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে মামলা হয়েছে ১১১টি, আসামি গ্রেফতার ১২২ জন। ইয়াবা ৮৫২৫ পিস, ফেনসিডিল ১৫৪ বোতল, গাঁজা ৯.৬৬৫ কেজি, হেরোইন ২ গ্রাম, কুপিজেসিক ইনজেকশন ৪৫ অ্যাম্পুল উদ্ধার করেছে।

ফেব্রুয়ারি মাসে ১৫৫টি মামলায় ১৫৮ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ইয়াবা ২৫৪০ পিস, ফেনসিডিল ৩৮ বোতল, গাঁজা ১০.৫৩৫ কেজি, হেরোইন ১৭ গ্রাম, কুপিজেসিক ইনজেকশন ১৩৮০ অ্যাম্পুল, টাপেন্টাডল ট্যাবলেট ১৪০০ পিস, বিলাতি মদ ৯ বোতল উদ্ধার হয়েছে।

মার্চ মাসে মামলা হয়েছে ২৫৯টি আসামি গ্রেফতার হয়েছে ২৬৫ জন। ইয়াবা ১২১৩৫ পিস, ফেনসিডিল ৪ বোতল, গাঁজা ৩১.৪৯৫ কেজি, ২৪ অ্যাম্পুল কুপিজেসিক ইনজেকশন জব্দ করেন। এপ্রিল মাসে ৮৪টি মামলায় গ্রেফতার ৮৫ জন। ইয়াবা ৪৪০ পিস, ফেনসিডিল ১৫, বোতল, গাঁজা ৮.৪৯০কেজি, কুপিজেসিক ইনজেকশন ৭ অ্যাম্পুল, হেরোইন ১৭ গ্রাম উদ্ধার হয়।

মে মাসে ৯১ টি মামলায় ৯৮ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইয়াবা ১২৮১১ পিস, গাঁজা ১১.৮৪০ কেজি, কুপিজেসিক ইনজেকশন ১৪ অ্যাম্পুল, হেরোইন ৪ গ্রাম উদ্ধার করা হয়েছে। জুন মাসে মামলা হয়েছে ১১৩টি আসামি আটক করা হয়েছে ১১৬ জন। ইয়াবা ৮৮৩৬ পিস, গাঁজা ৬.৯৪৫ কেজি, কুপিজেসিক ইনজেকশন ২১ অ্যাম্পুল, হেরোইন ২০ গ্রাম, বিয়ার ২৪ ক্যান বিদেশি মদ ৬ বোতল, ক্রিস্টাল মেথ ৫ গ্রাম, ১টি মোবাইল সেট উদ্ধার করেছে।

জুলাই মাসে মোট মামলা ৬৫টি, মোট আসামি ৬৫ জন, ইয়াবা ৩৭৬০ পিস, গাঁজা ৩.৫৯০ কেজি, কুপিজেসিক ইনজেকশন ২২ অ্যাম্পুল, মোটরসাইকেল ১টি,মোবাইল সেট ১টি উদ্ধার করে। আগস্ট মাসে মামলা হয়েছে ১১৭টি আসামি গ্রেফতার ১২৩ জন। হেরোইন ৪.৫ গ্রাম, ইয়াবা ১২৮১০ পিস, বিদেশি মদ ১৮৩ লিটার, ফেনসিডিল ৭৩ বোতল, এমকেডি এল ৩২ বোতল, ক্রিস্টাল মেথ ৩৭৪ গ্রাম, গাঁজা ১১ কেজি ৫৬৫ গ্রাম, কুপিজেসিক ইন: ২৮ অ্যাম্পুল, প্রাইভেটকার ২টি, মোবাইল সেট ৩টি, নগদ ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার হয়।

সেপ্টেম্বর মাসে মামলা হয়েছে ১৪৯টি আসামি গ্রেফতার ১৬১ জন। আইস ৫৬২ গ্রাম, ইয়াবা ৩৫০২৩ পিস, গাঁজা ৮.৫৮৭ কেজি, ফেনসিডিল ৪০ বোতল, হেরোইন ২০ গ্রাম, কুপিজেসিক ইন: ১৮ অ্যাম্পুল, প্যাথেডিন ও মরফিন ইন: ৮ অ্যাম্পুল, চোলাইমদ ১০ লিটার প্রাইভেটকার ২টি জব্দ করে।

অক্টোবর মাসে মামলা হয়েছে ১৭৫টি ১৭৬ জনকে গ্রেফতার করে। ইয়াবা ২০০৩৬ পিস, আইস ৭৭৭ গ্রাম, হেরোইন ২৪ গ্রাম, গাঁজা ৩.৮৪ কেজি, কুপিজেসিক ১৪ অ্যাম্পুল উদ্ধার করা হয়। নভেম্বর মাসে নিয়মিত মামলা ১৪০টি আসামি ১৫১ জন, ইয়াবা ১৭৪৩৮পিস, ফেনসিডিল ৪৪৭ বোতল, হেরোইন ২৩ গ্রাম, কুপিজেসিক ইন ৪৬ গ্রাম, গাঁজা ২৪.১৮৬ কেজি, এলএসডি ১৫ স্ট্রিপ, ডিওবি ৯০ স্ট্রিপ, আইস ১৪০ গ্রাম, প্রাইভেটকার ৩টি, ১টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ