ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

পঞ্চম জয় পেতে খুলনার দরকার ১৫০

প্রকাশনার সময়: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৮ | আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৩

লিটন দাসের ৪৫ রানের ইনিংস এবং জাকের আলী-অঙ্কনের ক্যামিওতে শেষ পর্যন্ত ভালো একটা পুঁজি দাঁড় করাতে পেরেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। যাতে টানা চার জয়ের পর হার দেখা খুলনার পঞ্চম জয়ের জন্য দরকার ১৫০ রান।

মিরপুরে বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিপিএলের ২৩তম ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে খুলনার বোলারদের মোকিবিলা করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৯ রান তোলে কুমিল্লা।

চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি ছুটিয়ে ফিফটির প্রায় কাছাকাছি গিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন দলপতি লিটন দাস। এরপর ফেরেন কিছুটা মন্থর গতিতে দলীয় রানের চাকা সচল রাখা মোহাম্মদ রিজওয়ানও। ভালো শুরুর পর একই ওভারে জোড়া উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে কুমিল্লা। এরপর সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দলটি। শেষ পর্যন্ত হৃদয়ের ১৬ ও উইল জ্যাকসের ২২ রানে ভর করে মাঝারি পুঁজি দাঁড় করাতে পারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

এদিন কুমিল্লার হয়ে লিটন দাসের সঙ্গে ইনিংস গোড়াপত্তনে নামেন পাকিস্তানি মোহাম্মদ রিজওয়ান। ইনিংসের প্রথম তিন ওভার পর্যন্ত কিছুটা রক্ষণাত্মক খেললেও চতুর্থ ওভার থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন এই জুটি। ফলে দ্রুতই বাড়তে থাকে দলীয় রানের চাকা। পাওয়ার প্লে’তে কোনো উইকেট না হারিয়ে কুমিল্লার দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৬ রান।

এরপর সবকটি উইকেট হাতে রেখে ইনিংসের নবম ওভারে ৬৭ রানে পানি পানের বিরতিতে কুমিল্লা। তবে এরপরই কুমিল্লাকে জোড়া ধাক্কা দেন স্পিনার নাসুম।

ইনিংসের দশম ওভারে ৩ বল ব্যবধানে জোড়া উইকেট শিকার করেন খুলনার এই স্পিনার। নাসুমের ফোলিশ ডেলিভারিতে সোজা ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন লিটন। কিন্তু উল্টো মিডল স্ট্যাম্পে আঘাত হানে বল। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৪ ছক্কা ও ২ চারে ৩০ বলে ৪৫ রানের মারকুটে এক ইনিংস উপহার দেন কুমিল্লার দলপতি।

এরপরই সাজঘরে ফেরেন কিছুটা কচ্ছপ গতিতে খেলতে থাকা রিজওয়ানও। লিটন ফেরার পর দলীয় স্কোরশিটে কোনো রান যোগ করার আগেই নাসুমের ঘুর্ণিতে কুপোকাত হন এই পাকিস্তানি। আম্পায়ার আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নেন দলপতি বিজয়। পরে ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, বল লেগ স্ট্যাম্পে হিট করতো। ফলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে বাধ্য হন আম্পায়ার। ফেরার আগে ২৮ বলে ২১ রানের মন্থর এক ইনিংস খেলেন দ্য গ্রিন ম্যানদের এই টপ-অর্ডার ব্যাটার।

জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া কুমিল্লাকে পথ দেখাচ্ছিলেন দীর্ঘদিন পর বিপিএলে খেলতে আসা উইল জ্যাকস। তবে ইনিংসের ১৬তম ওভারে ইংলিশ এই ব্যাটারকে ফেরান পেসার ওয়াসিম জুনিয়র। কাভারে নাহিদুলের তালুবন্দি হওয়ার আগে ২ বাউন্ডারিতে ২৭ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলেন বিপিএলের ২০২১-২২ আসরের সর্বোচ্চ এই রান সংগ্রাহক। ওই ওভারেই অবশ্য দলীয় একশ পেরিয়ে যায় বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

ইনিংসের ১৮তম ওভারে টাইগার ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝিতে স্বদেশি পেসার ফাহিম আশরাফের ওভারে রান আউটের ফাঁদে পড়েন খুশদিল শাহ। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে মোটে ৪ রান, ৩ বল থেকে। একই ওভারে চতুর্থ বলে বিদায়ঘণ্টা বাজে হৃদয়েরও। ফাহিমের অফ-স্ট্যাম্পের বাইরের শর্ট লেন্থের ডেলিভারিতে কাভারে নাহিদুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৬ রান করা এই ব্যাটার।

শেষ দিকে জাকের আলী অনিকের ৮ বলে ১৮ এবং মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ৫ বলে ১০ রানের ক্যামিওতে দেড়শ ছোঁয়া স্কোর পায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। খুলনার বোলারদের মধ্যে নাসুম আহমেদ ও ফাহিম আশরাফ ২টি করে এবং মোহাম্মাদ ওয়াসিন জুনিয়র একটি উইকেট লাভ করেন।

নয়া শতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ