ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

ববিতে ক্যান্টিনের খাবার খেয়ে ৫ শিক্ষার্থী হাসপাতালে

প্রকাশনার সময়: ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫:৪২

ক্যান্টিনের খাবার খেয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শেরে বাংলা হলের ক্যান্টিনের নিম্নমানের খাবার খেয়ে তাদের এ অবস্থা হয়েছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের মধ্যে চারজনকে বরিশাল সদর হাসপাতালে, অন্যজনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এছাড়াও বিগত কয়েকদিনে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকজন শিক্ষার্থী হলের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়েছিলেন বলে জানা যায়।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে শেরে বাংলা হলের ক্যান্টিনে খাবার খাওয়ার পর থেকে কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থতা বোধ করেন। পরে রাত আনুমানিক তিনটার দিকে তাদের অবস্থা খারাপ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের নেওয়া হয় বরিশাল সদর (জেনারেল) হাসপাতাল।

শিক্ষার্থীরা জানান, রাতে ক্যান্টিনে খাওয়ার পর থেকেই পেটে ব্যথা শুরু হয়। এরপর শুরু হয় ডায়রিয়া। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বমিও করেছেন। পরে বিষয়টি হল প্রভোস্টকে অবহিত করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীরা হলেন, মার্কেটিং বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের মো: জাকির হোসেন, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের তৌহিদুল ইসলাম, গণিত বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের আরমান আলী, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের সাইফুল ইসলাম শাকিল এবং বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের বদরুজ্জামান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেরে বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো: জাকির হোসেন জানান, রাত ৮ টার সময় হলের ক্যান্টিন থেকে ফুলকপি ও লালশাক খাই। তারপর রাত ১ টার পর থেকে প্রচন্ড পেটে ব্যাথা শুরু হয়। আনুমানিক রাত ২.৩০ এর দিকে লাগাতার বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। অবস্থা আরও খারাপ হলে রাতেই বরিশাল সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে এখনও চিকিৎসাধীন আছি।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেরে বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আরমান আলী বলেন, রাতে হলের ক্যান্টিনে খাওয়ার পর আনুমানিক রাত ৩ টার দিকে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা এবং বমি শুরু হয়। পরে অবস্থা গুরুতর হলে রাতেই চিকিৎসার জন্য বরিশাল সদর হাসপাতালে ভর্তি হই।

বরিশাল সদর হাসপাতালের ডা: আশিকুর রহমান বলেন, ভোররাতে কয়েকজন শিক্ষার্থী ডায়রিয়া নিয়ে ভর্তি হয়েছে। খাবারের বিষক্রিয়া থেকে এ সমস্যা হতে পারে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়ার কাছে একাধিকবার ফোন করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো: খোরশেদ আলম বলেন, ‘এরকম একটা অভিযোগ পেয়েছি। আগামীকাল সরেজমিনে ক্যান্টিন পরিদর্শন করে যদি কোন সমস্যা থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ