ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

ঢাবির রোকেয়া হলে দুই শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ

প্রকাশনার সময়: ১৭ নভেম্বর ২০২১, ১৮:২৭ | আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২১, ১৯:০১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হলের অপরাজিতা বিল্ডিংয়ের ৪ নম্বর রুমে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দুজন শিক্ষার্থীকে রাতভর র‌্যাগিং করার অভিযোগ উঠেছে তৃতীয় বর্ষের ৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। বুধবার (১৭ নভেম্বর) ভুক্তভোগীদের একজন আয়শা আক্তার রিজু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানীর কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- নাসরিন জাহান খুশি, জুলি মারমা, রিনাকি চাকমা, জান্নাত নিপু, পূজা দাস।

লিখিত অভিযোগে আয়শা আক্তার রিজু বলেন, মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় পাশের রুমের নাসরিন জাহান খুশি, জুলি মারমা ও রিনাকি চাকমা আমার রুমে আসে। তারা তাদের মতো কথা বলছিল। আমিও তাদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। এক পর্যায়ে জুলি মারমাকে মনে জিজ্ঞেস করি ‘আপু আমি ভাত খাই এইটা তোমাদের ভাষায় কিভাবে বলে?’ প্রতিউত্তরে তিনি আমাকে ধমক দিয়ে বলেন, ‘তুই আমাকে জিজ্ঞেস করিস? তোর সাহস তো কম না, তোকে র‌্যাগ দিতে হবে।’

নাসরিন জাহান খুশিও সরাসরি আমাকে বলছিল, ‘তোকে র‌্যাগ দিতে হবে।’ এরপর আমি বুঝতে পারি যে তারা আগে থেকেই প্ল্যান করে এসেছিলেন। তারা আমার সহপাঠীকেও নিয়ে আসে। সে রুমে ঢোকার পর রাগান্বিত হয়ে তারা বলেন, ‘রুমে আসার আগে সালাম দিতে হয় জানো না?’

লিখিত অভিযোগে রিজু আরও বলেন, ‘তারা আমাদের বাজে একটা গানে নাচতে বাধ্য করে। কোনও উপায় না পেয়ে তাদের কথা মানতে বাধ্য হই। রাত ১১টা পর্যন্ত আমদের ওপর নির্যাতন চলে।’

ভুক্তভোগী আয়শা আক্তার রিজু জানান, আমি নিরাপত্তাহীনতায় রুমেও যেতে পারছি না। আমার যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে তারা দায়ী থাকবে। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থী নাসির জাহান খুশি,পূজা দাস ও জান্নাত নিপুর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘আমরা তিন নম্বর রুমে থাকি আর তারা (রিজুরা) চার নম্বর রুমে থাকে। আমরা প্রায়ই ওদের রুমে যাই, নাচানাচি করি। তারই অংশ হিসেবে কালকে গিয়েছিলাম। রাত দশটা পর্যন্ত নেচেছি।’

এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। এটি হলের অভ্যন্তরীণ বিষয় তাই আমরা অভিযোগপত্র হল প্রভোস্টের কাছে পাঠিয়েছি। প্রভোস্ট বিষয়টি দেখবেন।’

হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক জিনাত জিনাত হুদা বলেন, আমার কাছে অভিযোগটি অনেক পরে এসেছে। তাই একটু দেরী হয়ে গেল। আমরা ওদেরকে নিয়ে বসেছি এবং বিষয়টি সুরাহা করবো। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে।

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ