ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১ জিলকদ ১৪৪৫

জরাজীর্ণ কাঠের সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

প্রকাশনার সময়: ২৯ ডিসেম্বর ২০২১, ২২:২২

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার পাইকোশা এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ হাজারো পথচারীর চলাচলের একমাত্র ভরসা পাইকোশা বাজারের জরাজীর্ণ কাঠের সেতু। উপজেলার ঝাঐল ইউনিয়নের পাইকোশা বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের ওপর বহু আগে নির্মিত কাঠের সেতু। সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৯০ ফুট হলেও অত্যন্ত সরু।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় দেড় বছর আগে উক্ত খালের ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণ কাজ চলছিল। সিংহভাগ শেষ হতে না হতেই ব্রিজের উভয় পাড়ের লোকজনের বাধা আর নিজস্ব সম্পত্তির ওপর ব্রিজ নির্মাণ হচ্ছে এমন দাবি ও বাধার মুখে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। নিরুপায় হয়ে পাইকোশা এলাকার লোকজনের যাতায়াতের সুবিধার্থে কামারখন্দ উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ সবুজ খালের ওপর একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে দেন।

ভুক্তভোগীরা আরও জানান, তাঁত সমুদ্ধ পাইকোশা বাজার একটা ব্যবসাবহুল এলাকা। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বীমা, এনজিও সংস্থার অফিস রয়েছে। প্রতিদিনের যাতায়াতে হাজার হাজার মানুষ এই কাঠের ব্রিজ পার হতে হয়। উপজেলার উল্লেখযোগ্য হাটের একটি পাইকোশার হাট। পাইকোশা হাট- বাজারটি উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় হওয়ায় সবসময় অবহেলিত হয়ে আসছে বলে জানা যায়। ভুক্তভোগী মানুষগুলোর দুর্ভোগ লাঘবে সব সময় অবহেলা করে আসছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ কর্তাব্যক্তিরা,এমন অভিযোগ অনেকের।

পাইকোশা বাজারে ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম, জাহিদ, ইলিয়াস, মোখলেছুর রহমান মিঠুসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, খালের ওপর একটি ব্রিজের অভাবে পাইকোশা বাজারের ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী,হাটুরে,পথিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের নিদারুণ কষ্ট করতে হয়। উপজেলার সবচেয়ে বৃহৎ উল্লেখযোগ্য হাট পাইকোশা। বহু আগের কাঠের ব্রিজটি এখন নড়বড়ে হয়ে যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে গেছে। বর্তমানে সেতুটির অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোন সময় ব্রিজটি ভেঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

রিক্সা চালক রহিম বলেন, ভ্যান রিক্সায় কোনো মালামাল পারাপারের সময় মনে হয় ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়লো। ব্রিজটির অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ যেকোন সময় ভেঙ্গে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

ঝাঐল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন ঠান্ডু বলেন, পাইকোশা বাজার খালের ওপর ব্রিজ না থাকায় এলাকার মানুষের চলমান এ দুর্ভোগ দীর্ঘ দিনের। ব্রিজের স্থান নির্বাচন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় উক্ত সমস্যা সমাধানের চালাচ্ছি।

কামারখন্দ উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ সবুজ বলেন, নির্মাণাধীন ব্রিজের দুইপাশের জমি সংক্রান্ত জটিলতা থাকায় ব্রিজের কাজ বন্ধ হয়েছে। তাই প্রায় দেড় বছর আগে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে কাঠের ব্রিজ করে দিয়েছে। বর্তমানে জমি সংক্রান্ত জটিলতা সমাধানের পথে। এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে অচিরেই ব্রিজের কাজ আবারো শুরু হবে।

নয়া শতাব্দী/এস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ