ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

অতিথি বরণে প্রস্তুত হচ্ছে কুয়াকাটা

প্রকাশনার সময়: ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৯

আসছে মুসলমানদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। রমজান মাস শেষে এই উৎসবকে আরো আনন্দময় করতে ও দিনটিকে স্মরণ করে রাখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ জড় হন সাগরকন্যা কুয়াকাটাতে। টানা ছুটিতে হোটেল রেস্তোরাঁগুলোতে ফিরবে স্বস্তি এমনটাই আশা কুয়াকাটার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের।

এর মধ্যে বেশির ভাগ হোটেল মোটেলের বুকিং হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ। তবে কলাপাড়ার পাখিমাড়া থেকে ১১ কিলোমিটার রাস্তার খানাখন্দের কারণে পর্যটকের প্রভাব পরতে পারেও বলে জানিয়েছেন কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরিফ। তিনি বলেন, এক দিকে ঈদ সাথে আবার পহেলা বৈশাখ, এই দুই উৎসব মিলে পর্যটকের সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী। তবে একবার কোনো পর্যটক কুয়াকাটার সড়ক পথে আসলে তাদের যেই অভিজ্ঞতা হবে তাতে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কুয়াকাটার পর্যটক নির্ভর ব্যাবসায়ীদের।

এদিকে ২০০৯-১০ অর্থ বছরের পাখিমারা বাজার থেকে মহিপুর মৎস বন্দর পর্যন্ত তৎকালীন ২০ কোটি টাকা ব্যায়ে রাস্তাটি নির্মাণের কাজ পায় দি রুপসা ইঞ্জিনিয়ারিং নামের খুলনার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে কাজের মান যথাযথ না হওয়ার অভিযোগ কাজের একাংশ বিল আটকে দেয় পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগ। আর এই কাজের পূর্ণ বিল দাবি করে ২০১৪ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। আর সেই সময় থেকেই আদালতের নির্দেশে রাস্তাটির সকল ধরনের সংস্কার কাজ বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম আতিকুল্লাহ জানান, ২০২৩ সালের ২৭ মার্চ আদালত মামলার শুনানি শেষ সড়কটির কাজের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওেয়ায় সড়কটি সংস্কারে এখন আর কোনো বাঁধা নেই। ২০২৩ সালের নভেম্বরে ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটি সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আগামী বর্ষার আগেই কাজটি আশা করছি শেষ করতে পারবো। জন মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

এদিকে কুয়াকার হোটেল মোটেলের পাশাপাশি সি বিচকেও সাজানো হচ্ছে মানুষের বিনোদনের জন্য। কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ঈদ পরবর্তী সময়গুলোতে কুয়াকাটাতে সাধারণত পর্যটক এর চাপ অনেকটাই বেশি থাকে। আর এই বিষয়টি মাথায় রেখেই আমরা সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। চিকিৎসক দল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যসহ ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবে।

টুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, কুয়াকাটাতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা সবসময় কাজ করি। তবে পর্যটকের চাপ মাথায় রেখে আমরা আরও বাড়তি নিরাপত্তা গ্রহণ করেছি। বিভিন্ন পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা পোশাকধারী সদস্যদের পাশাপাশি কাজ করবে। এছাড়াও আমাদের পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে সব সময় মাইকিং করাসহ নানান ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে পর্যটকদের নিরাপত্তায়।

কুয়াকাটা পৌর মেয়র মোহাম্মদ আনোয়ার হাওলাদার জানান, এবারের ঈদে অনেক দিন ছুটি রয়েছে তাই অনেক বেশি পর্যটক আসবে। তাই আগত পর্যটকদের নিরাপত্তাসহ সবকিছু বিবেচনা করে পর্যটকদের সেবা দিতে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।

নয়াশতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ