ঢাকা, রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

অবহেলায় হাসপাতালে মৃত্যু, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশনার সময়: ২২ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৪

গ্রাজুয়েট জেনারেল হাসপাতাল নামে এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (২২ মার্চ) জয়পুরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাসপাতালের সিইও ডা. রুহুল আমিন সুন্নামত।

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২২ ফ্রেব্রুয়ারি সদরের চকবরকত ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৭৫) নিজ বাড়িতে বাথরুমে পড়ে গিয়ে পা ভেঙে যায়। এরপর ৩ মার্চ জয়পুরহাট শহরের গ্রাজুয়েট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওইদিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং কর্মরত ডা. নজরুল ইসলাম নাহিদ ও ডা. দেওয়ান মো. আমিনুল ইসলাম মরিয়ম বেগমকে বয়বৃদ্ধ হওয়ায় পরিবারকে অপারেশন না করানোর জন্য বলেন। রোগীর পরিবার তাকে অপারেশন করার জন্য চাপ দেন এবং বিভিন্ন ব্যক্তির থেকে অপরেশন করানোর জন্য তদবির করান। পরবর্তীতে দুজন ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে রোগীর পা অপারেশন করানো হয়। রোগীর অপারেশনের পর দুইদিন রোগী ভালই ছিল। হঠাৎ ৫ মার্চ রাতে রোগীর অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া অথবা বাইরের কোনো উন্নত হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন।

ওইদিন রাত ২টার দিকে রোগীকে বাইরে নেওয়ার পরামর্শসহ ছাড়পত্র দিলেও পরিবার রোগীকে অন্য হাসপাতালে নিতে অস্বীকার করে। পরবর্তীতে ভোর পৌনে ৫টায় পরিবার রোগীকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগীর মৃত্যু হয়। এক্ষেত্রে রোগীর ছেলে জাকির হাসান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবহেলায় মৃত্যুর যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

হাসপাতালের এজিএম দেলোয়ার জাহান বলেন, হাসপাতালের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য তিনি এমন কাজ করেছেন। আমরা রোগীর সেবা প্রদানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকা এনেস্থেসিয়ান ডা. দেওয়ান মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, রোগীর অবস্থা বুঝে পায়ের অপারেশনের জন্য শুধু পায়েই এনেস্থেসিয়া দেওয়া হয়েছে পুরো শরীরে নয়।

রোগীর স্বজন যে দাবি করেছে রোগী পুরোপুরি অজ্ঞান ছিল তা সঠিক নয়। তার জ্ঞান ছিল, সে সবকিছু বলতে পারছিল। অন্যত্র যাওয়ার পরে রোগী মারা গেলে এ হাসপাতালের কোনো দায় নেই। এক্ষেত্রে কোনো এক অশুভ শক্তির ইচ্ছায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন রোগীর ছেলে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, গ্রাজুয়েট হাসপাতালের ম্যানেজার মুকুল হোসেনসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ