ঢাকা, রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে এক অসহায় পরিবারকে মারধর

প্রকাশনার সময়: ০২ মার্চ ২০২৪, ১৮:২৩

রংপুরে চলাচলের রাস্তা বন্ধকরে এক অসহায় পরিবারকে মারধরের করেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম।

শনিবার (২ মার্চ) বেলা ১২টায় রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন রংপুর মিডিয়া পয়েন্টে সংবাদ সম্মেলনে করেন সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সম্মানিপুর এলাকার বাসিন্দা ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি বলেন, আমাদের প্রতিপক্ষ মো. তোফাজ্জল হোসেনের পরিবারের সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ আমার ক্রয়কৃত জমির চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলে আসিছিল। যা গত বছরে স্থানীয় কাউন্সিলর, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিতিতে জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত আকারে মীমাংসা করে চলাচলের রাস্তাটি অবমুক্ত করা হয়। এর পরেও প্রতিপক্ষ ওই রাস্তা নিয়ে প্রায় সময় ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি করে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় আমার ছোট ভাইয়ের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোসলেমা আক্তার মিশু ও আমার অপর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মুন্নি বেগমসহ আমার স্ত্রী চায়না বেগম পার্শ্ববর্তী বাড়িতে ইসলামী ব্যাংক সমিতির কিস্তি দিয়ে ফেরার পথে আসামিদের বাড়ির সামনে রাস্তায় পৌঁছামাত্র তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে বিপ্লব মিয়া, ঝন্টু মিয়া, একই এলাকার ডালু মিয়াসহ তোফাজ্জল হোসেনের পরিবারের নারী সদস্যরা সংঘবদ্ধ হয়ে অতর্কিতভাবে লাঠিসোঁটা, রড, এসএস পাইপ দিয়ে আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীদ্বয় ও আমার স্ত্রীকে আটক করে শ্লীলতাহানিসহ বেধড়ক মারপিট করে।

এতে আমার ছোট ভাইয়ের ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোসলেমা আক্তার মিশু লোহার পাইপের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এছাড়াও তাদের লাঠিসোঁটার আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে অপর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মোছা. আনিছা বেগমসহ আমার স্ত্রী গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনা দেখে আমার বৃদ্ধা মা মোছা. জমিলা বেগম (৬০) এগিয়ে আসলে তারা তাকেও মারপিট করে।

এমন নিষ্ঠুর নির্মমতা দেখে এলাকাবাসী ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে অটোযোগে আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন।

ঘটনার দিন রাতে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়। এজাহারের কথা প্রতিপক্ষ শোনার পর থেকে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং বিভিন্নভাবে আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করার হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।

আমাদের প্রতিপক্ষ তোফাজ্জল গং ওই এলাকার নামকরা ডাঙ্গাবাজ ও মামলাবাজ পরিবার। তারা আমাদেরকে একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। তাদের আধিপত্য বিস্তারে এলাকার লোকজন অসহায় হয়ে পড়েছে। এই তোফাজ্জল গংদের আতঙ্কে আমার পরিবারের লোকজন আজ বাড়িছাড়া হয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

এসময় ভুক্তভোগীরা ন্যায় বিচারের দাবিতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সহযোগিতা কামনা করেন। ভুক্তভোগী মো. জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারের সকল সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ