ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

পাকুন্দিয়ায় তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩

প্রকাশনার সময়: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৮
গ্রেফতার কাউসার, শুভ ও রাজু। ছবি- নয়া শতাব্দী

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া এক তরুণীকে (১৮) অপহরণের পর দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের তারাকান্দি এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- বীর পাকুন্দিয়া এলাকার আলী আকবরের ছেলে মো. কাউসার আহম্মেদ (২৪), একই এলাকার মো. খসরু মিয়ার ছেলে জুবায়েদ হাসান শুভ (১৮) ও চর পাকুন্দিয়া গ্রামের মুক্তার উদ্দিনের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন রাজু (২৪)।

পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেলে ভুক্তভোগী ওই গার্মেন্টস কর্মীর বাড়িতে এসে তার বন্ধু সাব্বির হোসেন (১৮) তাকে অটোরিকশাযোগে নিয়ে তারাকান্দি বাজারে ঘুরতে যায়। ওই অটোরিকশাচালক ছিল সাব্বিরের বন্ধু আশরাফ। এ সময় স্থানীয় বখাটে যুবক কাউসার (২৪), জুবায়েদ হাসান শুভ (১৮), মেহেদি হাসান (২২), হৃদয় (৩২), বাবু (২২), তোফাজ্জল হোসেন রাজু (২৪), ও ইয়াসিন (২৫) মোটরসাইকেলযোগে এসে জোর করে তাদের অটোরিকশাটি তারাকান্দি ফাজিল মাদরাসার মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে মুক্তিপণ বাবদ তারা ভিকটিমের বন্ধু সাব্বিরের কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করে। এ টাকা না দিলে অটোরিকশাসহ তরুণীকে আটকে রাখার হুমকি দেয় তার। বখাটেরা অটোরিকশার চালক আশরাফকে মাদরাসার মাঠে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে, ভিকটিমকে মাদরাসার পাশের জনৈক রানা ভূইয়ার একটি পরিত্যক্ত টিনের ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে প্রথমে হৃদয়, পরে মেহেদি, বাবু, কাউসার এবং জোবায়ের তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

ঘটনার সময় সাব্বিরের বন্ধু আশরাফ মুক্তিপণের টাকা সংগ্রহের কথা বলে কৌশলে থানায় এসে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পাকুন্দিয়া থানার এসআই দ্বীন ইসলাম, এসআই নাজিম উদ্দিন, এএসআই রাকিব উজ্জামান খান, তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে এবং তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় অন্য দু’জন পালিয়ে যায়। তবে তাদের সঙ্গে থাকা একটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আল আমিন হোসাইন বলেন, ‘একের পর এক যুবক কর্তৃক ধর্ষিত হচ্ছিল তরুণীটি। মাটি থেকে উঠে দাঁড়াতে না পারলেও, বারবার পাশবিকতার শিকার হয়ে কুঁকড়ে যাচ্ছিল। ইতোমধ্যেই পাঁচজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। পুলিশের অবস্থান বুঝে সটকে পড়ে প্রায় সবাই। তবে কাউসার ও জুবায়েদ হাসান শুভকে পালানোর সময় দৌড়ে ধরে ফেলে এসআই দীন ইসলামের টিম। পরে পুলিশের অভিযানে তোফাজ্জল হোসেন রাজু নামে তাদের এক সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, ধর্ষণের ঘটনায় রোববার (২৮ জানুয়ারি) পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণে সহায়ক আলামত জব্দ করা হয়েছে।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার) ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ভিকটিম ও গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

এসময় ঘটনায় জড়িত পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত বলেও জানান পুলিশ সুপার।

নয়া শতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ