তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনকে সামনে রেখে জমে উঠেছে ভোটের মাঠ। উক্ত নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী লড়াই করছেন। তবে মূলত ভোটের লড়াই হবে দুই হেভিওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের (নৌকা) ডা. সেলিনা হায়াত আইভী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা স্বতন্ত্র (হাতি মার্কা) তৈমুর আলম খন্দকার মধ্যে।
বর্তমানে প্রচার-প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা। প্রত্যেক প্রার্থীই সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে বেড়াচ্ছেন। জনগণকেও এলাকার উন্নয়নের জন্য দিচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি।
এদিকে, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর বিষয়ে খোঁজখবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আইভীর বিষয়ে জানতে প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানককে ফোন করেন। বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সভায় জাহাঙ্গীর কবীর নানক বিষয়টি জানান।
নাসিক নির্বাচনে আইভীকে শেখ হাসিনার প্রার্থী বলে উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেছেন, আমি যখন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে, তখন নেত্রী (শেখ হাসিনা) আমাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করেছেন, ‘আমার আইভীর কী খবর?’ সুতরাং বুঝতেই পারছেন, নির্বাচন নিয়ে কারো মনে যদি কিছু থেকে থাকে, তাহলে তাকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশ্য করে নানক বলেন, আমরা এখানে এসেছি নেত্রীর বার্তা পৌঁছে দিতে। এ নির্বাচনটাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। আগামী ১৬ জানুয়ারি নির্বাচনে যদি কোনো অঘটন ঘটে তাহলে একজনও ছাড় পাবেন না। কী হচ্ছে, তার সব খবরই কিন্তু নেত্রীর কাছে রয়েছে। সুতরাং এখনও সময় আছে, সব বাজে চিন্তা বাদ দিয়ে আমাদের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে কাজ করুন।
উল্লেখ্য, আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে সিটি করপোরেশনের ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে এবং ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ১৮৭টি ভোট কেন্দ্রে মোট ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ