ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫
পুরুষ দিবসের সেমিনারে অভিযোগ

‘পুরুষ নির্যাতন নিয়ে কেউ কথা বলে না’

প্রকাশনার সময়: ১৯ নভেম্বর ২০২১, ২১:২০

সমাজে নারী-পুরুষ উভয়েরই প্রয়োজন ও গুরুত্ব রয়েছে। তবে এই দুইয়ের মধ্যে বৈষম্যও রয়েছে। দেশে নারী নির্যাতন দমন আইন ও অধিকার নিশ্চিতের আইন থাকলেও পুরুষ নির্যাতন দমন বিষয়ে কোনো আইন নেই। অথচ ঢালাওভাবে বলা হয়ে থাকে নারী-পুরুষ সমঅধিকার।

শুক্রবার আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘নারী ও পুরুষের মধ্যে সুষম ও উন্নত সম্পর্ক তৈরিতে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বিশ্ব পুরুষ দিবস উপলক্ষে সেমিনারটির আয়োজন করে এইড ফর মেন ফাউন্ডেশন।

বিশিষ্টজনরা বলছেন, নারী ও পুরুষের আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়ন এবং উভয়ের লৈঙ্গিক সমতা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। সেই সঙ্গে নারী ও পুরুষের মধ্যে বৈষম্য, অধিকার, সম্মান এবং আইনের সমতা নিশ্চিতে সরকারের প্রতি দাবি করেন তাদের। এর আগে গতকাল সকালে বেলুন উড়িয়ে বিশ্ব পুরুষ দিবসের উদ্বোধন করা হয়। এরপর সাড়ে ১০টার দিকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, এখন সবাই নারী নির্যাতনের বিষয়ে কথা বলে, তাদের অধিকারের কথা বলে। কিন্তু পুরুষ নির্যাতন নিয়ে কেউ কথা বলতে চায় না। আমাদের সমাজে শুধু নারীই নির্যাতনের শিকার হয় তা নয়। পুরুষও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কোনো নারী মিথ্যা মামলা (ধর্ষণ, নির্যাতন) করলে পুলিশ পুরুষকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়; কিন্তু এসব নারীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে পুরুষের সব যে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে, সেটি রুখতে কোনো আইন নেই। দেশে বেশিরভাগ ধর্ষণ মামলাই করা হচ্ছে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে। এর প্রতিকার করতেই পুরুষ নির্যাতন দমন আইন প্রয়োজন।

সেমিনারে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. লিটন মিয়া বলেন, সংবিধানে বলা হয়েছে আইন অনুযায়ী সবাই সমান। কিন্তু বাস্তবে এর মিল নেই। আমরা কোর্টে অনেক সময় দেখি বিভিন্ন মামলায় পুরুষ নির্যাতনের শিকার হয়েছে; কিন্তু তার প্রতিকারের কোনো উপায় নেই। বর্তমানে পুরুষ অধিকার রক্ষা ও নির্যাতন দমন আইন করা প্রয়োজন। এটা সময়ের দাবি। এই আইন তৈরি হলে নারী-পুরুষের মধ্যে থাকা অনেক বৈষম্য দূর হয়ে যাবে।

সেমিনারে এইড ফর মেন ফাউন্ডেশনের যুগ্ম আহ্বায়ক এম রহমান বলেন- পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ হচ্ছে। সেখানে কয়জন নারী শ্রমিক কাজ করছে? আমরাও সমান অধিকার চাই। নির্মাণ কাজে সমান নারী ও পুরুষ শ্রমিক কাজ করুক; কিন্তু সবাই মুখে বলে সমান অধিকার। আর কাজে করে অগ্রাধিকারে। সমাজে সমান অধিকারের নামে গোলামির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

এইড ফর মেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. আব্দুর রাজ্জাক খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহাম্মেদ, ফাউন্ডেশনের আইন উপদেষ্টা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাওসার হোসেন, নারী আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান প্রমুখ।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ