ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

মিরপুরে শামীম ঝড়, দিশেহারা বরিশাল

প্রকাশনার সময়: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২৯ | আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৯

মাত্র ৭৭ রানেই ৭ ব্যাটারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে রংপুর রাইডার্স। বরিশালের বোলাররা যখন মরণকামড় দেওয়ার অপেক্ষায়, ঠিক তখনই নিজের নখর দেখিয়ে পাল্টা আক্রমণ শানালেন তরুণ টাইগার শামীম হোসাইন। চেপে ধরা বোলারদের একে একটি চার-ছক্কায় বাউন্ডারি ছাড়া করে মাত্র ২০ বলে তুলে নিলেন দুর্দান্ত ফিফটি। যাতে মাঠেই দিশেহারা হয়ে পড়ে তামিম-রিয়াদসহ গোটা বরিশাল শিবির।

আর শামীমের ওই দুর্দান্ত ফিফটিতে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় রংপুর।

মিরপুরে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে রংপুরের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন শেখ মাহেদী ও রনি তালুকদার। তবে শুরটা ভালো হয়নি রংপুরের। এই জুটি ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই রংপুরের শিবিরে আঘাত হানেন সাউফউদ্দিন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শুরুতেই মাহেদীকে উইকেটের পেছনে মুশফিকের তালুবন্দী করেন তিনি। সাজঘরে যাবার আগে ২ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটার।

মেহেদী আউট হলে দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট হাতে আসেন সাকিব আল হাসান। তবে উইকেটে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি টাইগার অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনিও। সাইফউদ্দিনের বলে দলীয় ১০ রানে মুশফিকের তালুবন্দী হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। সাজঘরে যাবার আগে ৪ বলে ১ রান করেন সাকিব।

এরপর তৃতীয় উইকেটে ব্যাট হাতে আসেন জেমি নিশাম। তাকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ওপেনার রনি। তবে উইকেটে থিতু হয়ে নিজের ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হয়েছেন রনি তালুকাদরও। দলীয় ১৮ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

তাতে দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রংপুর। সেই চাপ সামলে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলো চতুর্থ উইকেট জুটিতে জেমি নিশাম ও নিকোলাস পুরাণ। যেখানে তাদের ব্যাটে রংপুর আশা দেখতেছিলো ভালো কিছুর। কিন্তু সেই আশা আর বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি বরিশাল। দলীয় ৪৮ রানে পুরাণ আউট হলে ভাঙে এই জুটি।

এরপর বেশিক্ষণ উইকেটে টিকেননি নিশামও। দলীয় ৪৮ রানে তিনিও ফেরেন সাজঘরে। প্যাভিলিয়নে যাবার আগে ২২ বলে ২৮ রান করেন তিনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে রংপুর ষষ্ঠ উইকেটে লড়তে থাকেন নবী ও সোহানের ব্যাটে। তবে এই উইকেটে জুটিতেও এদিন ভরসা দিতে পারেননি রংপুরদের।

দলীয় ৭৬ রানে নবী আউট হলে ভাঙে ২৮ রানের এই জুটি। প্যাভিলিয়নে যাবার আগে ১২ রান করেন তিনি। এরপর দ্রুত ফিরে যান অধিনায়ক সোহানও। সাজঘরে যাবার আগে ১৭ বলে ১৪ করেন তিনি।

নয়াশতাব্দী/টিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ