ঢাকা, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৫ জিলকদ ১৪৪৫

মিসরের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর জীবন-কর্ম নিয়ে সেমিনার

প্রকাশনার সময়: ২২ জুন ২০২১, ১৪:০০

মিশরের রাজধানী কায়রোতে শনিবার (১৯ জুন) যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উৎসবমূখর পরিবেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদ্যাপনের অংশ হিসেবে ‌‌‌‘বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের’ ওপর অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিশেষ সেমিনার ও আলোচনা সভা।

রাজধানী হোটেল শেরাটনে আয়োজিত করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এদিন সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে মোহাম্মদ ইসমাঈল হোসেনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সেমিনারে আগত অতিথিদের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।

অতঃপর বাংলাদেশ তথা বাঙালি জাতির উত্থানে বঙ্গবন্ধুর জীবনব্যাপী অবদানের উপর আলোচনা শুরু হয়। আলোচনার সূত্রপাত করা হয় কায়রোতে অবস্থিত বৃটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডঃ শেখ শামিম হাসনাইন-এর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের মাধ্যমে। তিনি বঙ্গন্ধুর ৭ই মার্চ ভাষণের প্রেক্ষাপট, প্রভাব ও স্বাধীনতার ঘোষণা ব্যাখ্যা করেন।

এরপর নিবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিখ্যাত আল-আজহার আল-শরীফের সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদ (এলডার্স কাউন্সিল)-এর ডাইরেক্টর জেনারেল মাহমুদ সেদকি আল-হাওয়ারি।

তিনি বাঙালী জাতির স্বাধিকার এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ব্যক্তি মুজিবের অবিস্মরণীয় অবদানের তাৎপর্য তুলে ধরেন। বৃটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর লিলা কিটি পুমফেরি তার আলোচনায় ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়’ - বঙ্গবন্ধুর এই বিখ্যাত বাণীর তাৎপর্য, প্রয়োগ এবং পরবর্তীতে তার কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক বাস্তবায়নের দৃষ্টান্ত ও সাফল্য বর্ণনা করেন।

সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী এবং মিসরের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. ইসাম আবদেল আজিজ সরাফ। তিনি মিসরীয় নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম, অবদান ও কীর্তি সম্পর্কে পড়াশুনা করা দরকার, যাতে বর্তমান প্রজন্ম অনুপ্রেরণা লাভ করতে পারে।

রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীর তাৎপর্যের উপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন। বক্তব্যের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

তিনি তার বক্তৃতায় জাতির পিতার আদর্শের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে একটি সুখী সমৃদ্ধ উন্নত দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে গড়ার কাজে প্রত্যেককে তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে সর্বাত্মক আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

তিনি আরো বলেন, ২০২০-২০২১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও ২০২১ সালে বাংলাদশেরে স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তী উদ্যাপিত হচ্ছে যা বাঙ্গালি জাতির ইতিহাসে অনন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে।

আলোচনা শেষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রবাসী বাংলাদেশী ছাড়াও মিসরীয়গণ উক্ত অনুষ্ঠানে সঙ্গীত এবং কবিতা উপস্থাপন করেন, যা দর্শকদের বিমুগ্ধ করে রাখে।

অনুষ্ঠানে মিসরের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, বিভিন্ন দূতাবাসের মান্যবর রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, মিসরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বাংলাদেশী অধ্যাপক, শিক্ষার্থী , কর্মজীবী এবং বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত নারী-পুরুষগণ উপস্থতি ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকলকে রাতের খাবারে আপ্যায়িত করা হয়।

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ