ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

নোবিপ্রবিতে মাতৃভাষা দিবসে ফুল দেওয়া নিয়ে হট্টগোল

প্রকাশনার সময়: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৪

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদনে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) হট্টগোলের অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এই ঘটনা ঘটে।

দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন থেকে প্রভাতফেরি শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে শহিদ মিনারে এসে শেষ হয়। পরবর্তীতে শহিদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে শহিদ মিনার চত্বরে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, ফুল দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনোরকম পূর্বনির্ধারিত নিয়মনীতি অনুসরণ না করেই শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আহ্বান জানানো হয়। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শ্রদ্ধা নিবেদনের পরই ফুল দেওয়া নিয়ে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষক সমিতির পর নোবিপ্রবি ছাত্রলীগের নাম ঘোষণা করা হয়। শিক্ষক সমিতির পরে নোবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশনের নাম ঘোষণা না করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান তারা। পরবর্তীতে সবার শেষে তারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থী বলেন, নোবিপ্রবিতে সবসময়ই সাদামাটাভাবেই জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়। কার আগে কে ফুল দিবে, এ নিয়ে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। যার ফলে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ এক শতাংশও হয় না।

এ বিষয়ে নোবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক ইবনে ওয়াজেদ ইমন বলেন, এখানে একটি ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। আমরা আশা করি, পরিবর্তীতে এরকম কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর ঘটবেনা।

নোবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম রহমান ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান শুভ বলেন, আমাদেরকে যখনই সুযোগ দেওয়া হতো তখনি আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করতাম। আমরা আশা করি, জাতীয় দিবস উদযাপনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরো সতর্ক হয়ে পরিকল্পনা করবেন।

নোবিপ্রবির জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির নির্দেশনায় আন্তর্জাতিক দিবসের আয়োজনের সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করে নোবিপ্রবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগ। এ বিষয়ে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. বিপ্লব মল্লিক বলেন, আমাদের দিবস উদযাপনের বিষয়ে সংশ্লিষ্টতা নেই। আমরা নির্দেশিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছি।

নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, শুরুর দিকে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। যা আমাদেরকে ব্যথিত করেছে। আমরা আশা করছি, পরবর্তীতে সঠিকভাবে শ্রদ্ধাবোধের সাথে দিবসগুলো পালন করতে পারবো। সকলের সহযোগিতা আশা করছি।

দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক নোবিপ্রবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী বলেন, প্রশাসনিক কিছু বিষয়ে সমস্যা হলে তা পুরো নোবিপ্রবির নাম চলে আসে। তাই আমাদের সবাইকে এই বিষয়ে সতর্ক হতে হবে।

নয়াশতাব্দী/টিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ