ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫
ফিরে দেখা-২০২১

খুলনার আলোচিত যত ঘটনা

প্রকাশনার সময়: ২৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯:০১ | আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯:১৮

মা-বাবা ও কন্যাকে কুপিয়ে হত্যা, গোয়েন্দা পুলিশ কর্তৃক আবাসিক হোটেলে মেয়ের সামনে মাকে ধর্ষণ, করোনা পরীক্ষার আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং ছাত্রলীগ নেতাদের মানসিক নির্যাতনে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) শিক্ষকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ছিল ২০২১ সালে খুলনার সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা। তবে, বছরের শেষ ভাগে এসে নগর ও জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে খুলনায় বিএনপি’র রাজনীতিতে তৈরি হয় নয়া মেরুকরণ। দেখা দেয় প্রকাশ্য ক্ষোভ। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে অব্যাহতির ঘটনায় দ্বিধা-বিভক্তি তৈরি হয়েছে খুলনা বিএনপির রাজনীতি।

ট্রিপল মার্ডার :

চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর খুলনার কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় স্থানীয় বাসিন্দা মৃত আব্দুল মাজেদ গাজীর পুত্র হাবিবুল্লাহ গাজী (৩৩), তার স্ত্রী বিউটি খাতুন (২৫) ও একমাত্র কন্যা হাবিবা খাতুন টুনিকে (১৩)। পুলিশ বাড়ির পুকুর থেকে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। তবে, ঘটনার প্রায় দেড় মাস পার হলেও পুলিশ কোন ক্লু-উদঘাটন করতে পারেনি।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এই ট্রিপল মার্ডারের পর বেশ কয়েকজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের সঙ্গে শত্রুতা ছিলো এমন ৬জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। তারা হলেন বামিয়া গ্রামের মৃত কওছার গাজীর ছেলে জিয়াউর রহমান জিয়া, কুদ্দুস গাজীর স্ত্রী সুলতানা ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের ভাগবা গ্রামের মৃত মোকছেদ আলী সরদারের ছেলে আব্দুল খালেক, কামরুল, বিল্লাল ও শামছুর।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, ট্রিপল মার্ডারের বিষয়ে কোনো ক্লু এখনও উদ্ধার হয়নি। তবে হত্যাকাণ্ডের ক্লু দ্রুত উদঘাটনে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হোসেন বলেন, তদন্তে কোনো ঘাটতি নেই। আশা করি খুব দ্রুত ট্রিপল মার্ডারের রহস্য ভেদ করতে পারবো।

করোনার নমুনা পরীক্ষা আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ :

খুলনার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে (সদর) বিদেশগামীদের করোনার নমুনা পরীক্ষার দুই কোটি ৫৭ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনা ছিল বছরের ব্যাপক আলোচিত। এ ঘটনায় হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। প্রকাশ বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত করোনা পরীক্ষার ইউজার ফি বাবদ মোট ৪ কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা আদায় হলেও সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৬৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। ল্যাব টেকনোলজিস্ট ও ল্যাব ইনচার্জ প্রকাশ কুমার দাস বাকি ২ কোটি ৫৭ লাখ ৯৭ হাজার টাকা জমা দেননি। ওই টাকা কেন সরকারি কোষাগারে জমা দেননি তার জবাব দেওয়ার জন্য ২০ সেপ্টেম্বর কৈফিয়ত তলব করা হয়। কিন্তু গত ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরের পর থেকে প্রকাশ কুমার দাস আত্মগোপন করে। সম্প্রতি তিনি হাইকোর্টের জামিন নিয়ে কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)’র আইনজীবী খন্দকার মজিবর রহমান জানান, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান বাদী হয়ে টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় হাইকোর্ট থেকে প্রকাশ কুমার ১৫ দিনের জামিন নিয়ে খুলনায় আসেন। জামিন শেষে গত ১২ ডিসেম্বর খুলনা মহানগর দায়রা জজ বিশেষ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক শহিদুল ইসলাম জামিন না-মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

খুলনায় মেয়ের সামনে মাকে ধর্ষণ :

গোয়েন্দা পুলিশ কর্তৃক আবাসিক হোটেলে মেয়ের সামনে মাকে ধর্ষণের ঘটনা ছিল বছরের শেষ ভাগের আলোচিত ঘটনা। এ ঘটনায় মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা শাখার এসআই মো. জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার এবং সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা হয়। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও দায়ের করা হয়। জাহাঙ্গীর চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের মো. আতিয়ার রহমানের ছেলে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার এক নারী তার ১১ বছরের অসুস্থ মেয়েকে ডাক্তার দেখানোর জন্য ভাগ্নেকে সঙ্গে নিয়ে গত ৭ ডিসেম্বর বিকালে খুলনায় আসেন। কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ায় কোন ডাক্তারের সিরিয়াল না পেয়ে তারা নগরীর শহীদ হাদিস পার্ক সংলগ্ন লোয়ার যশোর রোডস্থ সুন্দরবন আবাসিক হোটেলে ওঠেন। ওই নারী তার মেয়েকে নিয়ে হোটেলের তৃতীয় তলার ৩১৩নং রুমে এবং তার ভাগ্নে ছিল ৩০৮নং রুমে। রাত সোয়া ২টার দিকে নগর ডিবি’র এসআই জাহাঙ্গীর আলম হোটেলের বয় গোলাম মোস্তফাকে সঙ্গে নিয়ে হঠাৎ করে পুলিশ পরিচয়ে মা-মেয়ের রুমের দরজা খুলতে বলেন। তখন তিনি দরজা খুলে দিলে তারা ভিতরে প্রবেশ করে ওই নারীর কাছে জানতে চান সঙ্গে থাকা মেয়েটি তার কি হয়। এ সময় তিনি নিজের মেয়ে পরিচয় দিলেও এসআই জাহাঙ্গীর তা মানতে চাননি। এক পর্যায় সে হোটেল বয়কে ধমক দিয়ে বাইরে বের করে দিয়ে ওই রুমের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেয়। দরজা বন্ধ করে দিয়ে মুহূর্তের মধ্যে সে ওই নারীকে ধাক্কা দিয়ে খাটের ওপর ফেলে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ দৃশ্য দেখে তার শিশু মেয়ে ভয়ে চিৎকার করলে এসআই জাহাঙ্গীর তাকেও ধর্ষণের হুমকি দেয় এবং মেয়ের সামনেই মাকে ধর্ষণ করে। এ সময় মা-মেয়ের চিৎকার ও কান্নাকাটি শুনে হোটেলের অন্যান্য লোকজন এবং তার ভাগ্নে চলে আসলে এসআই জাহাঙ্গীর বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন তারা জাহাঙ্গীরকে আটকে রেখে হোটেল মালিক ও পুলিশে খবর দেয়। তাৎক্ষনিকভাবে খুলনা থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় ঐ নারী বাদী হয়ে এসআই জাহাঙ্গীর আলমকে আসামি করে খুলনা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এসআই জাহাঙ্গীর বর্তমানে খুলনা জেলা কারাগারে রয়েছে। ঘটনার সময় এসআই জাহাঙ্গীর মাদকাসক্ত ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।

হোটেল সুন্দরবনের কর্মচারী গোলাম মোস্তফা জানান, এসআই জাহাঙ্গীর মাঝেমধ্যে এই হোটেলে আসতেন। মঙ্গলবার রাতে তিনি তাকে সঙ্গে নিয়ে মা-মেয়ে যে কক্ষে ছিলেন ওই কক্ষের দরজায় গিয়ে নক করেন। তারা দরজা খুলে দেওয়ার পর তাকে (হোটেল কর্মচারীকে) মারধর করে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেন।

হোটেলের পরিচালক মো. মিশারুল ইসলাম মনির বলেন, তিনি রাতে বাসায় ছিলেন। কিন্তু গভীর রাতে স্টাফদের কাছ থেকে এ ধরণের খবর পেয়ে দ্রুত হোটেলে এসে এসআই জাহাঙ্গীরকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন। তার এ ধরণের পদক্ষেপকে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা সাদুবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু এসআই জাহাঙ্গীরের কতিপয় সহযোগী তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে। এতে তিনি আতঙ্কিত রয়েছেন।

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এসআই জাহাঙ্গীর আলম বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। এ মামলাটি থানার এসআই আব্দুল হান্নান মোল্লা তদন্ত করছেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিভাগীয় মামলাও দায়ের করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন।

কুয়েট শিক্ষকের অস্বাভাবিক মৃত্যু :

এদিকে, হল ডাইনিংয়ের ম্যানেজার পদ পেতে ছাত্রলীগ নেতাদের মানসিক নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট)’র ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেনের। এ ঘটনার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। এ ঘটনায় প্রাথমিক জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কুয়েট ছাত্রলীগ সম্পাদকসহ ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার এবং তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন দফায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজ‘র সূত্র অনুযায়ী ৩০ নভেম্বর কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ড. সেলিমকে অনুসরণ করে তার ব্যক্তিগত কক্ষে (তড়িৎ প্রকৌশল ভবন) প্রবেশ করে। আনুমানিক আধা ঘণ্টা শিক্ষকের কক্ষে অবস্থান করে তারা। সেখানে কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বে কিছু সাধারণ ছাত্রের জেরা, অপমান, অবরুদ্ধ করে রাখা ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। পরে শিক্ষক ক্যাম্পাস সংলগ্ন বাসায় যান। সেখানে দুপুর ২টার দিকে ওয়াশরুমে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন, পরে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় দুই দফা তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে দোষীদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি। এছাড়া তারা কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধেরও দাবি জানান। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ৩ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কুয়েট বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে বন্ধের মেয়াদ বাড়িয়ে ২৩ ডিসেম্বর এবং পরবর্তীতে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে। এছাড়া সিন্ডিকেটেসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া পাঁচ সদস্যের নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। কুয়েটের জনসংযোগ ও তথ্য শাখার মুখপাত্র রবিউল ইসলাম সোহাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

খুলনা বিএনপি’র রাজনীতিতে মেরুকরণ :

খুলনা বিএনপির রাজনীতিতে চলমান গ্রুপিং বছরের শেষভাগে এসে প্রকাশ্য রূপ নেয়। ৯ ডিসেম্বর অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনাকে আহবায়ক, তরিকুল ইসলাম জহিরকে ১নং যুগ্ম-আহ্বায়ক ও মো. শফিকুল আলম তুহিনকে সদস্য সচিব করে খুলনা মহানগর এবং আমির এজাজ খানকে আহবায়ক, আবু হোসেন বাবুকে ১নং যুগ্ম-আহবায়ক ও মনিরুল হাসান বাপ্পিকে সদস্য সচিব করে খুলনা জেলা বিএনপির আংশিক আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দেয়ার পরই নগর শাখার বিদায়ী সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও তার অনুসারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদ সম্মেলন করে অযোগ্যদের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে তাদের নেতৃত্ব পূনবহালের দাবি জানান। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মেনে না নেয়ায় সর্বশেষ মঞ্জুকে শোকজ এবং ২৫ ডিসেম্বর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয় তাকে। আর এ ঘটনার মধ্যদিয়েই খুলনা বিএনপির রাজনীতিতে দ্বিধা-বিভক্তি তৈরি হয়েছে। মঞ্জুর অনুসারীরা ‘গণপদত্যাগ’ শুরু করেছেন। নগর নেতৃত্বের পাশাপাশি সদর, সোনাডাঙ্গা এবং খালিশপুর থানা নেতৃবৃন্দ এবং ওয়ার্ড কমিটির ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন। যার তালিকা দীর্ঘ হবে বলে বিক্ষুব্ধরা জানিয়েছেন।

নয়া শতাব্দী/এস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ